• কিছুটা কমল গঙ্গার জলস্তর, ভাঙা রাস্তা মেরামতে জোর
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: অবশেষে প্রায় দশদিন পর কমল গঙ্গার জলস্তর। তবে এখনও জারি লাল সতর্কতা। সোমবার সকালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.৩৬ মিটার। তবে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করতে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। জোর তত্পরতার সঙ্গে সেই কাজ হচ্ছে। তবে ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন।


    বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও দুর্গতদের সমস্যা মেটাতে রবিবার রাতেই সেচ দপ্তরের নির্দেশে দক্ষিণ চণ্ডীপুর বাঁধের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।  ফলে ভূতনি অঞ্চলের জল হুহু করে বাইরে বেরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে  কালুটোনটোলা, কেশরপুর, মানিকনগর, চামাটোলা, অশোকনগর কলোনি, ওহেদুল্লাটোলা থেকে জল কমতে শুরু করেছে। এদিন সকালে এই এলাকাগুলিতে জলস্তর প্রায় ২ ইঞ্চি কমেছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে খবর। রাতের মধ্যে জলস্তর আরও কমে যাবে। এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। গঙ্গার জলস্তর নতুন করে আর না বাড়লে হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। এমনটাই আশা সবার। 


    জল কমতেই যোগাযোগ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোর তত্পরতা শুরু হয়েছে। মানিকচক ব্লক প্রশাসন ভূতনির সংযোগকারী রাস্তা মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে। ভূতনির বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে এই কয়েকদিন ছিল শুধুই নৌকা। ভূতনি ব্রিজের নীচে কোমর-জল জমে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরো বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের উদ্যোগে ব্রিজের পাশে বাঁশের পাইলিং করে বালির বস্তা ফেলে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের ভিতরে যে কালভার্ট ও রাস্তায় ধস নেমেছে সেগুলিও মেরামত করা হচ্ছে।


    মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, যুদ্ধকালীন তত্পরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। উত্তর চণ্ডীপুরের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাও সংস্কার করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।


    জলমগ্ন পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হোক, চাইছেন দুর্গতরা। দেড় সপ্তাহ ধরে তাঁরা জল যন্ত্রণায় নাজেহাল হাজার হাজার মানুষ। বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তাঁরা। উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, স্লইসগেট খুলে দেওয়ায় ও গঙ্গার জলস্তর কমতে থাকায় কিছুটা আতঙ্ক দূর হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর এভাবে কমতে থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেকে ঘরে ফিরে যেতে পারবেন।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)