নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ব্যক্তিগত ডায়েরির খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের সময় কী কী পাওয়া গেল, চিকিৎসক সেখানে লিখে রাখেন। তার ভিত্তিতে তৈরি হয় চূড়ান্ত রিপোর্ট। তদন্তকারীরা দেখতে চাইছেন, ওই ডায়েরিতে লেখা তথ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত রিপোর্টের কোনও অমিল আছে কি না। সেই কারণে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে সেটি আনতে বলা হবে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে আদালতে জমা দেবে তারা।
এদিন মৃতার বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল শিয়ালদহ আদালতের সামনে এক্সট্র্যাক্ট করার জন্য আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার তালিকাও জমা পড়েছে আদালতে। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন কিছু বিষয় উল্লেখ আছে, যেটি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। সেই কারণে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকিত্সককে শ্বাসরোধ করে ও গলা টিপে খুন করা হয়। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, একা সঞ্জয় রায় কীভাবে একই সঙ্গে অল্প সময়ে দু’টি কাজ করবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও প্রভাব খাটানো হয়েছিল কি না, তা তদন্তকারী টিম বের করার চেষ্টা করছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ফরেন্সিক সায়েন্স মেডিসিনের তিন ডাক্তারকে নিয়ে যে বোর্ড তৈরি হয়, তাঁরা কারও চাপে মৃত্যুর সময়ের বদলাননি তো? যেহেতু সেখানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না, তাই নিরপেক্ষতা কতটা ছিল, তাই নিয়ে সন্দেহ আছে। একইসঙ্গে এই তিন বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসকের সব ছবি ও প্রমাণ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সিবিআই প্রশ্ন তুলেছে, আর জি করেই কেন ময়নাতদন্ত করানো হল? সিবিআই দেখতে চাইছে, সন্দীপবাবু ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ফরেন্সিক সায়েন্স মেডিসিনের বোর্ডের তিন চিকিৎসককে কোনও নির্দেশ দিয়েছিলেন কি না। এই বিষয়ে তাঁকে সিবিআই জিজ্ঞেস করলে, তিনি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে খবর।
এদিকে আর জি করে তিন মাস আগে এক তরুণী চিকিৎসক নির্যাতিতা হন। টালা থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়নি। সেই ঘটনা সিবিআইয়ের নজরে। সঞ্জয়কে এই নিয়ে জেরা করা হলে সে সন্দীপবাবুর কোর্টে বল ঠেলেছে।