নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণের শিকার তরুণী চিকিৎসকের হাড়, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। বিশেষ সূত্রে পাওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের দু’জন এবং এন আর এস-এর একজন— সবশুদ্ধ ফরেনসিক মেডিসিনের তিনজন চিকিৎসক প্রায় একঘণ্টা ধরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছিলেন। ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে গলা টিপে খুন করার কথা উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ রয়েছে শরীরে বাইরে (এক্সটারনাল) ১৬ ধরনের আঘাতের। এছাড়াও শরীরের ভিতরে আঘাতের সংখ্যা নয়। ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের তথ্য ঘুরছে ময়নাতদন্ত নিয়ে। এমনকী, তাঁর স্ত্রীঅঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। সেটি যে নেহাতই ভুয়ো খবর, তাও জানা গিয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে। পেলভিক বোন ভেঙে গিয়েছিল ওই তরুণীর, এমন বার্তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষ সূত্রে পাওয়া তরুণীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ‘মাসলস, বোনস অ্যান্ড জয়েন্টস’-এর ‘ইনজুরি’ অংশে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে ‘নট ফাউন্ড’।
চিকিৎসক মহল সূত্রের খবর, কোমর থেকে নিম্নাঙ্গকে ধরে রাখা পেলভিক বোন সহজে ভাঙার প্রশ্ন আসে না। পথ দুর্ঘটনা বা উঁচু থেকে পড়ে না গেলে এত শক্ত হাড় ভাঙার আশঙ্কা কম। প্রশ্ন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর পিছনে কারও অন্য উদ্দেশ্য ছিল না তো?