• শৌচবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: সমীক্ষার নির্দেশিকা পঞ্চায়েত দপ্তরের
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: মুক্ত পরিবেশে শৌচ বন্ধ করা হয়েছে আগেই। আওয়াজ তোলা হয় নির্মল গ্রাম, শহরের। কিন্তু সেখানকার শৌচবর্জ্য যাচ্ছে কোথায়? পরিবেশ দূষণ রক্ষায় ওই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সমীক্ষায় নেমেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। সমস্ত জেলার সঙ্গে হুগলিতেও পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা। যাবতীয় প্রশ্নের দ্রুত উত্তর পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশ্নগুলি সবই শৌচবর্জ্য সংক্রান্ত। শৌচবর্জ্য বা সেপটিক ট্যাঙ্কের আবর্জনা সরানোর কী ব্যবস্থা রয়েছে, বর্জ্য কোথায় ফেলা হচ্ছে, এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব তলব করা হয়েছে।

    প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, শৌচবর্জ্য নিয়ে একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করাই উদ্দেশ্য। মাঠে-ময়দানে মলত্যাগ হয়তো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু শৌচাগার পরিষ্কারের নামে তা আবার মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া দরকার। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হুগলির গ্রামীণ এলাকায় এ বিষয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। হুগলির মগরা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেন, জেলা প্রশাসন আমাদের পঞ্চায়েতে শৌচবর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা করতে বলছে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। দ্রুত তা জমা করা হবে।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত দপ্তর জেলা প্রশাসনকে গত ১৪ আগস্ট চিঠি দিয়ে সমীক্ষা করতে বলেছে। সেখানে এলাকাভিত্তিক কতগুলি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা শৌচবর্জ্য সংগ্রহের কাজ করে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বরও পঞ্চায়েত দপ্তর তলব করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ন’টি বিষয়ের প্রশ্নমালার মধ্যে শৌচবর্জ্য কী করা হয়, সেই প্রশ্নও রাখা হয়েছে। সেখানে তিনটি সম্ভাব্য পথের কথা বলে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে জবাব চাওয়া হয়েছে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে— শৌচবর্জ্য মাঠে ফেলা হয়/পুকুরে ফেলা হয়/অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রশাসনের অন্দরমহলের দাবি, ওই বিষয়টি মুখ্য। যদিও বিভিন্ন পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌচবর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রামাঞ্চলে খুবই কম। পাশাপাশি, শৌচবর্জ্য সংগ্রহের পর তা কোথায় ফেলা হয়, তা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নজরদারি করা হয় না। সেই হিসেবে এই প্রথম নজরদারির ইঙ্গিত মিলেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)