নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেকব্যান্ড ইয়ারফোন থেকে শুরু করে মোবাইল চার্জার, ভাঙা চশমা, চুলের ক্লিপ, চার্জার মিলেছে নিহত তরুণীর আশপাশ থেকে। কিন্তু, রহস্য একটা জায়গাতেই। আর জি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুমের অকুস্থল থেকে মিলেছে একটি ডায়েরিও। তবে তার তিনটি পাতা ছেঁড়া। সেগুলি ডায়েরির পাশেই পড়েছিল। কিন্তু, ওই তিনটিই ছেঁড়া কেন? তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মনে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের জেম্মায়। সোমবার বিকেলে লালবাজারে আসেন সিবিআইয়ের চার জনের একটি টিম। সেখান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের পাশাপাশি অকুস্থল বা ‘ক্রাইম সিন’ থেকে বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্র নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেই ডায়েরি ও তার তিনটি ছেঁড়া পাতাও নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
তদন্তভার নিজেদের হাতে থাকাকালীন ওই তিনটি পাতার রহস্যভেদ করার চেষ্টা করে পুলিস। কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, ওই তিনটি পাতায় মূলত চিকিৎসকের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে একাধিক তথ্য লেখা রয়েছে। সেখানে লেখা — ‘আমি এমডিতে গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’। কিন্তু, পাতাগুলি ছিঁড়ল কীভাবে? সেগুলি কি তরুণী চিকিৎসক নিজেই ছিঁড়েছিলেন? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিসের দাবি, ঘটনার সময় ধস্তাধস্তি ও নির্যাতিতার বাধা দেওয়ার চেষ্টার অভিঘাতেও ডায়েরির পাতা ছিঁড়ে যেতে পারে। যদিও এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। ডায়েরির পাতার রহস্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা কোন চোখে দেখেন? সেটাই এখন দেখার।