• আর জি করের পর এবার ফুলবাগান: অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের বাড়িতে চুরি, ধৃত সিভিক
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব  প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করের ধর্ষণ-খুনে হাজতে সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই ঘটনার ১০ দিনের মাথায় ফের অভিযুক্ত আরেক সিভিক। এবার চুরির অভিযোগ। ফুলবাগান থানা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের বাড়িতে চুরির অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিস। ধৃতের নাম মহম্মদ হাসান গাজি (৩৫)। লালবাজার জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার বাসিন্দা সে। সোমবার তাকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করে ফুলবাগান থানার পুলিস। 

    লালবাজার জানিয়েছে, গত ২৫ জুন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিশ্বনাথ দে’র বাড়ি থেকে একটি এটিএম কার্ড চুরি যায়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পুলিস সূত্রের খবর, সেই সময়ে প্রায় সপ্তাহ দেড়েক ধরে অসুস্থতা জনিত কারণে বাইপাসের একটি নামী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিশ্বনাথবাবু। প্রাথমিকভাবে চুরির বিষয়টি জানতে পারেননি তিনি। ২৭ জুলাই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ দফায় মোট ৪০ হাজার টাকা ডেবিট হয়। সেই মেসেজ পেয়েই ফুলবাগান থানার দ্বারস্থ হন। প্রাথমিকভাবে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জানান তিনি। সেই মোতাবেক অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিস। বিচারকের যে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে, সেই ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তরকারীরা। ব্যাঙ্কের তরফে অফিসাররা জানতে পারেন, এটিএম কার্ড ব্যবহার করেই টাকা তোলা হয়েছে।  

    সেই তথ্যের ভিত্তিতে ফুলবাগান থানা এলাকারই একটি এটিএম কাউন্টারকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। সেখানকার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। সেই ফুটেজ থেকে লেনদেনের সময় তুলনা করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিস। সেই মোতাবেক টাওয়ার ডাম্প করে অভিযুক্তের মোবাইল নম্বর পান তদন্তকারীরা। অভিযুক্তের খোঁজে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। অভিযুক্ত কলকাতা পুলিসে কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে গ্রেপ্তার করে ফুলবাগান থানার পুলিস। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। তাকে পুলিসি হেফাজতে চাইবেন তদন্তকারীরা। ইস্ট সাবার্বান ডিভিশন সূত্রে খবর, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বিচারকের বাড়ির বাইরে মোতায়েন থাকত। বিচারক যে অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি, তা হাসান গাজি জানত। সেই পর্বেই বাড়িতে ঢুকে এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেয় সে। 

    উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোররাতে আর জি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন ও তার পর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের জেম্মায়। কলকাতা পুলিসের দাবি, ভোর চারটে নাগাদ ইমার্জেন্সি বিভাগে ঢুকে মহিলা চিকিৎসকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে খুন করে সিভিক। এরপরেই মৃতদেহের উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে আগেও কালীঘাট থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ হয়েছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)