• আরামবাগ-কলকাতার ‘ঝাঁ চকচকে’ রাস্তা এখন বেহাল
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা হয়ে কলকাতা যাওয়ার জন্য ঝাঁ চকচকে ফোর লেন রাস্তা তৈরি হয়েছে। লক্ষ্য একটাই যাত্রীদের সুবিধা। কিন্তু, এক বালতি দুধে চোনা ফেলেছে ওই রাস্তারই চার কিমি। যানবাহনে চেপে ওই সামান্য পথ অতিক্রম করতে যাত্রীদের কালঘাম ছুটছে। খানাখন্দে ভরেছে রাস্তা। জল জমে তা কার্যত পুকুরের চেহারা নিচ্ছে। বলরামপুর এলাকা থেকে মুথাডাঙা হয়ে মায়াপুর পর্যন্ত চার কিমি রাস্তার এই বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলে যেমন জল জমে যাচ্ছে, অন্য সময় আবার ধুলোর ঝড়েও অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে। একইসঙ্গে আরামবাগ শহরের মধ্যে গৌরহাটি মোড় থেকে বাসুদেবপুর দিকের রাস্তার একাংশও চরম বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তার ওই অংশগুলি দ্রুত মেরামতির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। পূর্তদপ্তর অবশ্য বর্ষা মিটলেই সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। 

    পূর্তদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমন্ত প্রামাণিক বলেন, গৌরহাটি মোড় সহ বলরামপুর থেকে মায়াপুর পর্যন্ত রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। এখন বৃষ্টির জন্য সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। এজেন্সি প্রস্তুত রয়েছে। বর্ষা মিটলে সংস্কারের কাজ হবে। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠানো আছে। অনুমোদন এলেই আমূল সংস্কারের পাশাপাশি সম্প্রসারণও করা হবে। তবে যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রাথমিকভাবে সেখানে সংস্কারের কাজ হবে। 

    উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগেও আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন অংশ চরম বেহাল ছিল। তারসঙ্গে সংকীর্ণও ছিল রাস্তা। মাঝে মধ্যেই ঘটত দুর্ঘটনা। তাতে প্রাণহানির নজির রয়েছে বহু। বর্তমানে রাজ্য আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত প্রায় ২১ কিমি রাস্তা ফোর লেনের করে দিয়েছে। দু’টি লেন দিয়ে যান চলাচলের ফলে আগের থেকে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। কম সময়ে কলকাতায় যাওয়া যায়। কিন্তু, ওই রাস্তারই বলরামপুর থেকে মায়াপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা ফোর লেনের হয়নি। বর্তমানে সেই অংশই চরম বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই রুটে হাজার খানেক যান চলাচল করে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য সড়কে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু, বেহাল অংশে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাস যাত্রীরা বলছেন, আরামবাগের ওই অংশে যে কোনও বাসে বসে বা দাঁড়িয়ে যাতায়াতের সময় সমস্যা হয়। গর্তে চাকা পড়লেই লাফিয়ে ওঠে বাস। 

    এক টোটো চালক শেখ জাহাঙ্গীর আলি বলেন, রাস্তার বেহাল দশার জন্য খুব সমস্যা হচ্ছে। টোটো নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। খারাপ হয়ে যাচ্ছে টোটো। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা চুমকি পাল, উল্লাস মণ্ডল বলেন, বেহাল এই রাস্তার জন্য বছর দুয়েক ধরে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একবার বৃষ্টি হলে গর্তগুলিতে অনেকদিন ধরে জল জমে থাকছে। দ্রুত মেরামত করা দরকার। 
  • Link to this news (বর্তমান)