• গোসাবায় বিতর্ক: বেকন বাংলো দেখতে গেলে গাঁটগচ্চা পর্যটকদের
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হল বেকন বাংলো। স্যর ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের আমন্ত্রণে ১৯৩২ সালের ৩০-৩১ ডিসেম্বর গোসাবার এই ভবনে এসে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এই ঐতিহাসিক ভবনে এতদিন অবাধে প্রবেশ করতে পারতেন পর্যটকরা। তবে এখন থেকে ওই বাংলোতে ঢুকতে হলে গুনতে হবে গাঁটের কড়ি। এই বাংলো দেখভাল করার জন্য বর্তমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে। তারাই প্রবেশ মূল্য নিচ্ছে বলে গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা মণ্ডল বলেন, এই জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এক বছরের চুক্তিতে তারা এই কাজ করবে। তারাই প্রবেশমূল্য ঠিক করেছে। 


    বেকন বাংলো লাগোয়া মাঠে রয়েছে কবিগুরুর মূর্তি। সম্প্রতি সেখানে বসেছে হ্যামিল্টন সাহেব এবং রবীন্দ্রনাথের নতুন মূর্তিও। এক টেবিলে বসে আছেন তাঁরা। পর্যটকরা এই বাংলোর ছবি যেমন তোলেন, তেমনই ভিডিও করেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণ সেভাবে এখন আর হয় না। বাংলোর হালও বেশ খারাপ। কেন প্রশাসন পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর মধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ায় আরও বেশি শোরগোল পড়েছে। রবীন্দ্র স্মৃতি রক্ষা কমিটির দাবি, এই দ্রষ্টব্য স্থানটি দেখাশোনা কারা করবে, তার জন্য ‘ডাক’-এর আয়োজন করেছিল পঞ্চায়েত সমিতি। সর্বোচ্চ দর উঠেছিল প্রায় সাত লক্ষ টাকা। তবে বেসরকারি সংস্থা দায়িত্ব পেলেও কাজের কাজ যে হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, বর্ষায় বড় বড় ঘাস গজিয়েছে চারদিকে। সেগুলি কাটার বন্দোবস্ত করেনি ওই সংস্থা। এভাবে চললে ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই বাংলোর যত্ন নেবে কী করে তারা? প্রশ্ন তাঁদের। 


     
  • Link to this news (বর্তমান)