এই সময়: হাওড়া থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হলে যে কলকাতায় গণ-পরিবহণের মানচিত্রই বদলে যাবে, সে কথা অনেক দিন ধরে শুনছেন যাত্রীরা। কিন্তু কবে চালু হবে সেই পরিষেবা? এতদিন এর নিশ্চিত উত্তর জানা ছিল না। অবশেষে একটা আইডিয়া দিলেন কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুজ মিত্তল।
তিনি জানান, আগামী বছরের মার্চ মাসেই এই অংশে টানা চলতে পারবে মেট্রোর রেক। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এই মেট্রো চলার কথা থাকলেও বাধ সেধেছিল বউবাজার। সেখানে সুড়ঙ্গে তিনবার ধস নামে। যে কারণে হোঁচট খেয়েছিল হাওড়াকে সল্টলেকের সঙ্গে মেট্রোপথে জোড়ার স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত খণ্ডিত ভাবে চালু হয় চলাচল।
প্রথমে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ৯.৪ কিমি অংশে এবং পরে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটারে যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়। কিন্তু শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার অংশে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। অতি দ্রুত সেই কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস অনুজের।
তিনি জানান, বউবাজার এলাকায় শেষ ক্রস প্যাসেজটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যাকে শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড অংশের বড় অগ্রগতি বলে মনে করছে কেএমআরসিএল। রেক চলার জোড়া সুড়ঙ্গের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর একটি করে প্যাসেজ তৈরি করা হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের এক সুড়ঙ্গ থেকে অন্য সুড়ঙ্গ দিয়ে বের করার জন্যই এই প্যাসেজ।
বউবাজার এলাকায় মাটির বুনোটের কারণে সেটি তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ধীরগতিতে কাজ এগিয়ে প্যাসেজ তৈরি হয়েছে। যা কেএমআরসিএল-কর্তাদের মনোবল বাড়িয়েছে। সেই কারণেই মার্চে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার ব্যাপারে অনুজ এতখানি আত্মবিশ্বাসী বলে মনে করছেন অনেকে।