সুপ্রিম নির্দেশে আরজি করে CISF, কতটা শক্তিশালী এই কেন্দ্রীয় বাহিনী?
এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস হত্যার ঘটনার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। গত ৯ অগস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন আরজি করে চিকিৎসকরা। এ বার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিল, আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য CISF বাহিনী মোতায়েনের জন্য।কী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের?
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। নৃশংস খুনের ঘটনার পরেই গত ১৪ অগস্ট হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে জোরালো প্রশ উঠে যায়। বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে এবার আরজি কর হাসপাতালে CISF মোতায়েন করার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’ চিকিৎসকদের কাজে ফেরানোর জন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
কী জানালেন চিকিৎসকরা?
ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের আবেদনকে স্বাগত জানিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। সেক্ষেত্রে, এখনও নৃশংশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে সুরক্ষিত ভাবে কাজ করার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না তাঁরা। আগামী ২২ অগস্ট সিবিআই আদালতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে কী রিপোর্ট জমা দেয়, সেদিকে নজর থাকবে চিকিৎসকদের। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আন্দোলনরত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের রক্ষা করবে, আমরা সেই অর্ডারটা দেখতে চাইছি। কতদিন এই নিরাপত্তা থাকবে সেটা আমরাও জানতে চাই। তার কারণ এখনও পর্যন্ত একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা জানি, একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তবে তারা কেন এখনও ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে? তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?’
CISF কারা, কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
CISF হল কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (Central Industrial Security Force)। এটি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, যা ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে। CISF ভারতের সংসদের একটি আইনের অধীনে 1969 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের মহাকাশ বিভাগ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কারেন্সি নোট প্রেসিং ইউনিট, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, পাওয়ার প্ল্যান্ট সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি এবং বেসরকারি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয় তাঁদের। বর্তমানে, সিআইএসএফ জেড প্লাস, জেড, এক্স, ওয়াই বিভাগের অধীনে সুরক্ষিত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদান করছে। CISF এই উদ্দেশ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি গ্রুপ তৈরি করেছে। CISF দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।