• হাসপাতালের পরিষেবা ও সুরক্ষা-পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: কার নির্দেশে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের অকুস্থলের অদূরে শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ? তার জবাব পেতে আজ, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান করতে চলেছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। জুনিয়র ডাক্তাররা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মিছিল করে পৌঁছবেন সেক্টর ফাইভের স্বাস্থ্যভবনে।যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের যুক্তি, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনেই টয়লেট এবং ডিউটি রেস্টরুম তৈরির জন্য সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কারণ, এ ব্যাপারে এখন কড়া নজর রাখছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সোমবারই এ নিয়ে সব মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তারা।

    শনিবার ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে নবান্ন। সোমবার এ নিয়ে আদেশনামা জারি করে রাজ্য সরকার। শনিবারই জানানো হয়েছিল, নাইটি ডিউটিতে থাকা মহিলা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য একটি সুরক্ষা অ্যাপও চালু করা হবে। এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে অবিলম্বে ওই অ্যাপ হাসপাতালে কর্মরত সব স্তরের মহিলা কর্মীদের মোবাইলে ইনস্টল করার কথা জানানো হয়।

    পাশাপাশি বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিটি হাসপাতালের সিসিটিভি-র আওতার বাইরে থাকা এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজের কর্তারাই জানান, এত কম টাকায় হাসপাতালের বিরাট এলাকা সিসিটিভি নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব নয়।

    কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজে প্রায় ২৫০টি সিসিটিভি রয়েছে। দরকার আরও অন্তত ৩৫০টি। এসএসকেএমে প্রায় ১ হাজারটি সিসিটিভি রয়েছে। তবে আরও প্রয়োজন। সাগরদত্ত থেকে শুরু করে এনআরএস এবং উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের মেডিক‌্যাল কলেজগুলিতেও অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা প্রয়োজন বলেও জানান কর্তারা।

    কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য অকেজো ওয়াটার ফিল্টার সরিয়ে নতুন ফিল্টার বসানোর কথাও আলোচনা হয় বৈঠকে। মহিলা কর্মীদের জন্য রেস্টরুম, টয়লেট নির্মাণ এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগে শুধুমাত্র মহিলা পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদেরই মোতায়েন করার প্রসঙ্গও ওঠে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, ধীরে ধীরে সব দাবিগুলিই মেটানো হবে।
  • Link to this news (এই সময়)