• বারবার রাঙাপানি এলাকায় দুর্ঘটনা, কারণ জানতে সমীক্ষা শুরু করে দিল রেল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের রাঙাপানি এলাকায়। গত সপ্তাহে চটেরহাটের দিকে আসার সময় বেলাইন হয়ে যায় জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কারবাহী মালগাড়ি। পরে জানা যায়, সেখানে রেললাইনের নিচে মাটি বসে যাওয়ায় লাইন বেঁকে গিয়েছিল। সেই কারণে মালগাড়ির কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেই কারণেই কি এই দুর্ঘটনা তা স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় বারবার কেন সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে? তা খতিয়ে দেখতে রবিবার সেখানে পৌঁছল রেলের আধিকারিকরা।

    সিগন্যালিং সিস্টেম এবং অন্যান্য কী সমস্যা রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন আধিকারিকরা। রবিবার সেখানে যান কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। সেখানে তিনি অন্যান্য রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে , রাঙাপানি এলাকায় একটি তৈল শোধনাগার রয়েছে ।  ওই তৈল শোধনাগার কেন্দ্রে ঢোকার আগে মালগাড়ি বেলাইন হয়েছে। সেই সময় পয়েন্টের গোলমাল ছিল বলেও দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাঙাপানি এলাকাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে সিগন্যাল উপেক্ষা করে ধাক্কা মেরেছিল একটি মালগাড়ি। তার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাঙাপানি থেকে চটেরহাটের মধ্যে রেলের মূল লাইন থেকে নুমালিগড় তৈল শোধনাগার কেন্দ্রের দিকে দু’টি লাইন রয়েছে। সেই লুপ লাইনের মেরামতির জন্য তৈল শোধনাগার সংস্থাটি রেলকে টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু, তারপরে কেন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কর্মীরা। যদিও জানা যাচ্ছে, রেলে পর্যাপ্ত কর্মী এবং পরিকাঠামোর অভাবেই তা হচ্ছে না। এই অবস্থায় এলাকাটির পুরো সমীক্ষা ত্রুটিগুলি দ্রুত চিহ্নিত করে মেরামতি করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।

    এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছিলেন, শোধনাগার সংস্থা টাকা দেয় ঠিকই, তবে সেই কাজটি তাদেরকেই করিয়ে নিতে হবে। কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা জানতে কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)