সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স। সিবিআই দফতর রয়েছে সেখানে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকেই এই দফতরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সিজিওর বাইরে সর্ব ক্ষণ সাংবাদিকদের ভিড়। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এসে দাঁড়ায় পুলিশ স্টিকার সাঁটা একটি গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে নামলেন কলকাতা পুলিশের এক এএসআই। তত ক্ষণে সাংবাদিকদের কাছে খবর চলে যায়, উনি এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘ঘনিষ্ঠ’। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই ছুটে যান সাংবাদিকেরা। ধৃত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেই দৌড় শুরু করে দেন ওই এএসআই। ছুটে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে।
আরজি কর-কাণ্ডে গত ১০ অগস্ট কলকাতা পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই তদন্তভার পেলে তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই ধৃতের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই। সেই সূত্রেই তাঁর পরিচিত লোকজনকে তলব করছেন তদন্তকারীরা। প্রায় রোজই কেউ না কেউ আরজি কর-কাণ্ডে হাজিরা দিচ্ছেন সিবিআই দফতরে। মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই এএসআইকে। কিন্তু ওই এএসআই ধৃত ব্যক্তি বা আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই তাই দৌড় শুরু করেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
২০১৯ সালে ধৃত ব্যক্তি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও তিনি যে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন, তার কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজি)-তে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সেখানে অল্প কয়েক দিন কাজ করার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে।
এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কী ভাবে পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সিজিও কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার যে এএসআই দৌড়ে ঢুকেছেন, তিনিও পুলিশ ওয়েলফেরার কমিটির সদস্য বলেই সূত্রের খবর।