‘শীর্ষ আদালতেও বিচার না পেলে সভ্যতা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন রূপাঞ্জনা
আনন্দবাজার | ২০ আগস্ট ২০২৪
আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এক দিকে লাগাতার প্রতিবাদ চলছে। অন্য দিকে ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় দু’পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। তার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।
মঙ্গলবার, ফেসবুকে একটি পোস্টে মনমোহন দেশাই পরিচালিত ‘রোটি’ ছবিতে রাজেশ খন্নার উপর চিত্রায়িত, কিশোর কুমারের গাওয়া জনপ্রিয় ‘ইয়ে জো পাবলিক হ্যায়’ গানটির কিছু লাইন পোস্ট করেছেন। অভিনেত্রীর নিশানায় কারা? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী বলেন, “আমি কারও উদ্দেশে কিছু লিখিনি। এক জন সাধারণ মানুষ হিসেবেই বলতে চেয়েছি, মানুষ সব কিছু দেখছেন এবং জানেন।”
রূপাঞ্জনার মতে, সমাজমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষ তাঁদের মতামত তৈরি করছেন। রূপাঞ্জনা বললেন, “মানুষ তো একটা প্রত্যাশা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন। কারণ এ রকম একটা জঘন্য অপরাধকে কেন ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা তো সাধারণ মানুষ জানতে চাইবেন।”
সোমবার আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআইয়ের পর আরজি করের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে রূপাঞ্জনা কতটা আশাবাদী! অভিনেত্রী বললেন, “গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে অনেকটাই আশাবাদী। কারণ কোথাও ঠাঁই না পেলে মানুষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখান থেকেও যদি কোনও ফল না পাওয়া যায়, তা হলে এই সভ্যতাই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত!”
গত ১৪ অগস্ট রাত এবং সম্প্রতি অভিনেতাদের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন রূপাঞ্জনা। তাঁর মতে, আরজি কর-কাণ্ড একই সঙ্গে সারা দেশে ঘটে চলা অজস্র অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্বর হয়ে উঠেছে। বললেন, “তার পরেও ধর্ষণের খবর শুনছি। এক জন মহিলা হিসেবে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা তো বিচার চাইতেই পারি।” রূপাঞ্জনার মতে, সমাজের যে ক্ষেত্র থেকেই প্রতিবাদ হোক না কেন, মূল সুর একটাই— ন্যায়বিচার। দ্রুত বিচারের আশায় বাকিদের মতো তিনিও দিন গুনছেন।