আরজি করে হামলার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ, সাসপেন্ড তিন পুলিশ আধিকারিক
এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে বুধবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ। কাজে গাফিলতির জন্য তিন পুলিশ কর্তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কলকাতার দু'জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ও একজন পুলিশ ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হল।কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ অগস্ট রাতে ওই তিন অফিসার আরজি কর হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রমেশ রায় চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মহম্মদ সাকিবউদ্দিন সর্দার এবং ইন্সপেক্টর রাজেশ মিনজ। নর্থ ডিভিশনের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত তিন অফিসার।
বুধবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতা জুড়ে ‘রাত দখল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। রাতে আরজি কর হাসপাতালের সামনেও প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। এর মাঝেই বেশ কিছু বহিরাগত ঢুকে ঢুকে তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হন। লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়।
সেদিনের হামলার ঘটনা পুলিশ আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেনি বলে আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে ভর্ৎসনা করে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। পুলিশ কেন এই হামলা রুখতে ব্যর্থ হল, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন তোলা হয়। মূল ঘটনার প্রমাণ লোপাটের জন্যেই এই আক্রমণ? সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?’ সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরেই পুলিশের ব্যর্থতার বিষয়টি আরও প্রকট হয়। এরপরেই কলকাতা পুলিশ সূত্রে এই খবর এল মঙ্গলবার রাতে।