• শার্টের কাপড়ে প্যান্ট, প্যান্টে শার্ট! সরকারের স্কুল পোশাকে বিভ্রান্তি নদিয়ায়
    এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • শরীরের উপরের অংশের জন্য কাপড় কেটে তৈরি হয়েছে নীচের অংশের পোশাক। নীচের অংশের কাপড় দিয়ে হয়েছে উপরের অংশের পোশাক। কোনও ফ্যাশন শো’র জন্য পোশাক ডিজাইন নয়, বিভ্রাট স্কুলের ইউনিফর্ম নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ স্কুলের পড়ুয়া সহ অভিভাবকরা। ঘটনা নদিয়া জেলার করিমপুরে।নদিয়ার করিমপুর সেনপাড়া রাধারানি উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪৭ জন। স্কুল সূত্রে খবর, পঞ্চম শ্রেণি থেকে মেয়েদের জন্য সাদা জামা আর নীল রঙের গাউন দেওয়া হয়। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির মেয়েদের জন্য সালোয়ার বা চুরিদার দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে, ১৫০ জন পড়ুয়া পেয়েছে উলটো পোশাক। আর তাই পরেই স্কুলে আসছে ছাত্রীরা।

    স্কুল ছাত্রীদের জন্য সালোয়ার বানানোর কাপড়ের কামিজ আর কামিজ বানানোর কাপড়ে সালোয়ার তৈরি হয়েছে। ছেলেদের জামা-প্যান্ট নিয়েও রয়েছে রয়েছে বিভ্রাট। 'উলটো' ইউনিফর্ম তৈরির অভিযোগের পাশাপাশি কাপড়ের মান নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী সরকারের দেওয়া ইউনিফর্ম ব্যবহার না করে বাজার থেকে কিনে তা ব্যবহার করছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আবার স্কুলের ইউনিফর্ম ব্যবহার না করে অন্য রঙের জামা কাপড় পরেই স্কুলে আসছে। এতে একদিকে যেমন স্কুলের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে, তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের কপালে জুটছে স্কুল শিক্ষকদের বকা-ঝকা।

    ঘটনাটি স্বীকার করেছেন স্কুলের শিক্ষিকা টুয়া মণ্ডল। তিনি এ বিষয়ে জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি এবার প্রথম নয়। এর আগেও ইউনিফর্ম নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমাধান হয়নি বলে জানান তিনি। স্কুলের ইউনিফর্ম নিয়ে বারংবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্কুলের ছাত্রীরা। ক্ষোভ রয়েছে অভিভাবকদের মনেও। তবুও এর সুরাহা হয়নি।

    এক পড়ুয়ার অভিভাবক সঞ্জীব বিশ্বাস জানান, সরকার যখন পয়সা খরচ করে স্কুল ইউনিফর্ম দিচ্ছে সেগুলো ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যবহার করতে পারছে না, তাহলে সেগুলো দিয়ে কী লাভ! সূত্র মারফত খবর , বর্তমানে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে স্কুলের ইউনিফর্ম তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে। তারাই এই সমস্ত নিম্নমানের পোশাকের কাপড় সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে করিমপুর এক নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবদত্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও জানি না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি, তারপর বলতে পারব কী হয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)