R G Kar Incident: সন্দীপ ঘোষের আরও দুর্নীতি ফাঁস। সন্দীপের বিরুদ্ধে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের স্বাস্থ্য দফতরের এক সচিবের। আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ দায়ের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে সিট। অভিযোগ, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই দেহ মেডিক্যাল কাজে ব্যবহার! ফরেনসিক দফতর থেকে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় বলে সূত্রের খবর। নালিশ জানানো হয় মেডিক্যাল এডুকেশন বিভাগে। এর পাশাপাশি বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বিক্রির অভিযোগ। ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গ্লাভস, স্যালাইন বোতল বিক্রির অভিযোগ! অভিযোগ, বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে বিক্রি করা হয় সব জিনিস। এই বিক্রিবাটা দেখভাল করতেন অধ্যক্ষের এক নিরাপত্তারক্ষী।
এমনকি স্নাতক স্তরের স্কিল ল্যাব তৈরির বরাতেও দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের টাকায় বরাত দেওয়া হয়। ২০২২ সালে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট স্কিল ল্যাব তৈরির জন্য, একটি সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩ কোটি টাকার চুক্তি করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ। অথচ ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালে একই ল্যাব তৈরি করতে খরচ পড়ে মাত্র ৬১ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালে কোভিডের সময় যন্ত্র কেনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ। আরজি করে খরচ ৪.৩ লাখ টাকা দেখানো হয়। ওদিকে ওই একই যন্ত্র বেসরকারি হাসপাতাল কেনে দেড় লক্ষ টাকায়। মানে প্রায় ৩ লাখ টাকা গরমিলের অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, সব কাজেই কাটমানি খেতেন সন্দীপ। প্রত্যেক কাজে ২০ শতাংশ করে কাটমানি খেতেন আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল! অভিযোগ এমনই। ২০২৩ সালে সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডারপিছু ২০ শতাংশ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলে একটি সংস্থা। এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কয়েকজন ঠিকাদারের অপরাধমূলক যোগসাজশের অভিযোগও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্সহীন তিনটি সংস্থাকে সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দেন সন্দীপ ঘোষ। একটি সংস্থাকে ক্যাফেটেরিয়া চালানোর বরাত দেওয়া হয়। আর একটি সংস্থাকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ফুড স্টল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অনেক আগে থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বার দুয়েক বদলির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন আরজি কর থেকে দূরে রাখা যায়নি সন্দীপকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্দীপের বিরুদ্ধে টালা থানায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব। তার ভিত্তিতেই আইজি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্ত করে, এক মাসের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।