‘প্রতিবাদের নাম মৃত্যু’, আর জি কর কাণ্ডে মিছিলের পর স্কুলে হুমকি পোস্টার
প্রতিদিন | ২১ আগস্ট ২০২৪
সঞ্জিত ঘোষ ও অরূপ বসাক: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রেলবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তার পরই স্কুলে পড়ল হুমকি পোস্টার। পোস্টারে লেখা প্রতিবাদের আরেক নাম মৃত্যু আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল। তার পরই আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। তবে তাঁরা প্রতিবাদের রাস্তা থেকে তাঁরা সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে এই পোস্টার রাজ্যের স্কুলছাত্রীদের সুরক্ষাকে আরও একবার প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করালো বলেই মনে করছেন অভিভাবকদের একাংশ।
চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিল। শনিবার রাস্তায় নেমেছিলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রেলবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি মৌন মিছিল করেন তাঁরা। মিছিলের পর রবিবার ও রাখি পূর্ণিমার জন্য সোমবার বিদ্যালয়ে ছুটি ছিল। মঙ্গলবার সকালে ছাত্রছাত্রীরা যখন স্কুলে আসে তখন দেখে বিদ্যালয়ের দেওয়ালে ও গেটে হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিভাবকরাও এই খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়
প্রথমে কিছুটা আতঙ্কিত হলেও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ থেকে সরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা বলেন, “আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তার দিদির উপর যে নির্মম অত্যাচার হয়েছে তার প্রতিবাদে আমরা ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরা শনিবার মিছিল করি। পরের দুই দিন স্কুল ছুটি ছিল। মঙ্গলবার সকালে এসে দেখি এই পোস্টার ফেলা হয়েছে। তবে এই পোস্টারে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাগ চলবে।” স্কুল শিক্ষিকা চন্দ্রাণী লাহিড়ি বলেন, “প্রতিবাদের আরেক নাম মৃত্যু হলে আমরা পথে নামতাম না। সব জায়গায় প্রতিবাদ হচ্ছে। সারা দেশ রাস্তায় নেমেছে। মেয়েদের সুরক্ষা চাই।”
এদিকে, মালবাজারে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবি চেয়ে সোমবার মাল ব্লকের অধীনের গজলডোবা ৭ নম্বর থেকে গজলডোবা ১০ নম্বর কালিবাড়ি পর্যন্ত মিছিল করল ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। মিছিলে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহন ছিল সব থেকে বেশি। কবিতা পাঠ থেকে স্লোগানে-স্লোগানে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মিছিল চলে।