• ‘যতক্ষণ না বিচার পাই এভাবেই লড়াই চালিয়ে যান’, শুনানির পর আবেদন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
    প্রতিদিন | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে উত্তাল দেশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। শুনানির পর আইনের প্রতি আস্থার কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। পাশাপাশি যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা আস্থা রাখছি ন্যায়বিচার পাব। এছাড়া বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। বিচারের জন্য যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাঁদের সকলের সঙ্গেই আছি। রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর কাছে প্রার্থনা, আমরা যতক্ষন বিচার না পাই, তাঁরা যেন এভাবেই লড়াই করেন।”

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে শুনানির জন্য ওঠে। সেখানে পুলিশের ভূমিকা-সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিন বিচারপতি। তরুণীর দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর দায়ের হয়নি কেন জানতে চান বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কখন প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল, সেই তথ্য জানতে চান তিনি। সেই বিষয়ে মৃতার বাবা বলেন, “আদালত নিশ্চয়ই এই বিষয়টি দেখবে। সেই জন্যই তো কৈফিয়ত চেয়েছে। আমরা বিকেল পাঁচটা, সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কখন এফএইআর নিয়েছে সেটা তো পুলিশের ব্যাপার।”

    এদিকে, বৃহস্পতিবারে সিবিআইকে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নিয়ে তিনি বলেন, “এটা সুপ্রিম কোর্ট আর সিবিআই বুঝবে। আমি কোনও মন্তব্য করব না। সিবিআই আমাদের বলেছে এটা লম্বা প্রসেস। তাঁদের সময়দিতে ও ভরসা রাখতে। আমরা আস্থা রাখছি ন্যায়বিচার পাব।”

    শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর বল প্রয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, “এটাকে স্বাগত জানাই। বিচারের জন্য যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাঁদের সকলের সঙ্গে আছি। রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর কাছে প্রার্থনা, আমরা যতক্ষন বিচার না পাই তারা যেন এভাবেই লড়াই করেন।”

    পাশাপাশি চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের পিছনে ডিপার্টমেন্ট দায়ী বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “একজন গ্রেপ্তার হয়েছে সে আসল দোষী বলে মনে করি না। গোটা চেস্ট ডিপার্টমেন্ট দায়ী।” ঘটনার প্রমাণ লোপাট ও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মৃতার মা বলেন,”প্রমান লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রমান লোপাট করা সংবিধানে শাস্তি যোগ্য অপরাধ। ঘটনার দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু প্রিন্সিপাল আমাদের সঙ্গে একবারও কথা বলেনি। প্রিন্সিপালও হয়তো কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছিলেন। প্রমান লোপাট করলে প্রিন্সিপালও শাস্তি পাবে।”

    এদিকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে মৃতার মা বলেন, “রাজ্যপাল এদিন ফোনে করে কথা বলেছেন। উনি পাশে আছেন জানিয়ে বাড়িতে আসবেন বলেছেন। তবে কবে আসবেন সেটা বলেননি।” 
  • Link to this news (প্রতিদিন)