তবে ঠিক কি হয়েছিল হাওড়া ব্রিজের মুখে? মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বিজেপি-র হাওড়া ব্রিজ অভিযান মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে হাওড়া ব্রিজে ওঠার রাস্তা বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। সে সময় ব্যারিকেড টপকে হাওড়া ব্রিজে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর জ্যোতির্ময় সমর্থকদের নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ব্রিজের কাছে পৌঁছন। ব্রিজে উঠতে বাধা দিলে সেখানে বসে পড়েন তাঁরা। স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের সরানোর চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায় পুলিশ। জ্যোতির্ময় সহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। হাওড়া ব্রিজের পরিস্থিতি উত্তাল। কিন্ত পিছু হঠতে নারাজ বিজেপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন ঘেরাও করার ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তার আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বিক্ষোভ দেখায় সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। প্রথমে সিটি সেন্টারে জমায়েত হয়। সেখান থেকে স্বাস্থ্যভবনের দিকে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ অবশ্য মঙ্গলবার এবিভিপি নেতা-কর্মীদের সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি। তার প্রায় দু-কিলোমিটার আগে ইন্দিরা ভবনের অদূরে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। সেখানেই রাস্তায় বসে বৃষ্টির মধ্যে প্রথমে স্লোগান দিতে থাকেন এবিভিপি কর্মীরা। এরপর তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়ায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় অশান্তি। ইট ছোঁড়াছুড়ি, লাঠিচার্জে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা এলাকা। বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ। এর মাঝেই মঙ্গলের সন্ধ্যায় বিজেপির হাওড়া ব্রিজ অভিযানেও চলল ধরপাকড়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যত বেসামাল হয়ে পড়তে হয় পুলিশকে।