• রাষ্ট্রপতির দরবারের রাজ্যপাল, বোসকে ফের নিশানা তৃণমূলের
    এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে সোমবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরেই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। তার আগে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বোস। রাজধানীতে রাজ্যপালের এই সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে কোনও নির্দেশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরির একটা বড় প্লট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৈরি করছেন। দিল্লিতে কোনও নেতা কি চক্রান্ত করতে চাইছেন? রাজভবন এই চক্রান্তে যুক্ত কিনা সেই প্রশ্ন আমরা তুলছি।’

    রাজভবনকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করায় বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে সরকার একটি হাসপাতালে সুরক্ষা দিতে পারে না, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়, সেখানে সরকারি মেশিনারি যে ভেঙে পড়েছে--তা না বললেও চলে। মানুষ তো এখন এটাই বলছে, বিজেপির সঙ্গে সেটিং রয়েছে বলে এই সরকার টিকে রয়েছে, না হলে পড়ে যেত। একটি কথা আমরা স্পষ্ট করছি, ৩৫৬ ধারা জারি করে কোনও নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া বিজেপির নীতি নয়।’

    রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে আরজি করের ঘটনা নিয়ে একটি মোবাইল কন্ট্রোল রুমও চালু করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে এই মর্মে পোস্ট করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের দু’টি ফোন নাম্বারও দেওয়া হয়েছে। এক্স-পোস্টে বলা হয়েছে, আরজি করের ঘটনা নিয়ে যে কেউ ফোনে রাজ্যপালকে বক্তব্য জানাতে পারেন। রাজ্যপাল নিজে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    সেই কথোপকথনের ভিডিয়োও আবার এক্স হ্যান্ডলে রাজভবনের তরফে পোস্ট করা হয়েছে। এ নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘ধর্ষিতার বাবার সঙ্গে ফোনে কথোপকথন আপনি রেকর্ড করিয়েছেন এবং প্রচার করেছেন। এটা অনৈতিক এবং জঘন্য। নিজের প্রচারের জন্য রাজভবনকে ব্যবহার করবেন না।’

    আরজি করে চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যপাল গত কয়েক দিন ধরেই প্রশ্ন তুলছেন। ওই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত শুনানিতে কতগুলি নির্দেশ দেওয়ার পরে তাকেও হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যপাল।

    পাল্টা ডেরেকের বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে আমরাও সমর্থন করছি, কিন্তু আপনি এই নিয়ে ভিডিয়ো-বার্তা দিচ্ছেন কী করে! রাজভবনে কর্মরত মহিলাকে সুরক্ষা দিতে পারেননি আপনি। নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই বিষয়ে কিছু বলার নৈতিক অধিকার কি রয়েছে আপনার?’
  • Link to this news (এই সময়)