• ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, রানিগঞ্জে জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত স্কুলবাড়ি
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ফের বাড়ি ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটল রানিগঞ্জে। রানিগঞ্জের ডালপট্টি মোড়ের পর এবার বাড়ি ধসে পড়ল মহাবীর কোলিয়ারির সিং ধাওড়া এলাকায়। জনবহুল এলাকায় ইসিএলের পরিত্যক্ত স্কুলবাড়ি মঙ্গলবার ধসে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই স্কুলবাড়ির পাশেই একাধিক মানুষের বাড়ি রয়েছে। এই ঘটনার জেরে প্রতিটি পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ইসিএল বাড়িটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও কেন ভেঙে দেয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকাটি আসানসোল পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। রানিগঞ্জ থানার মহাবীর কোলিয়ারি এলাকা। যে খনির দুর্ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমাও রয়েছে।  সেই মহাবীর কোলিয়ারি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খনি শ্রমিকদের পরিবার এখনও ওখানে রয়ে গিয়েছেন। ইসিএল এই এলাকায় কাজোড়া দামোদর নামে একটি স্কুল চালু করে। যেখানে খনি শ্রমিক ও এলাকার পড়ুয়ারা পড়াশোনা করত। পরবর্তীকালে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন এলাকার মানুষ বাড়িটিকে কমিউনিটি হল হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করে। এছাড়া এলাকার খুদেরা সেখানে খেলাধুলোও করত। সোমবার রাতে বৃষ্টিপাত হয়। মঙ্গলবার সকালে বাসিন্দারা দেখেন, বাড়িটি ধসে গিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দিনের বেলায় এই ঘটনা ঘটলে বিপদ ঘটত। এলাকায় আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার রূপেশ যাদব। তিনি বলেন, ইসিএল বাড়িটিকে বিপজ্জনক বুঝে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও কেন ভেঙে দিল না। 

    প্রাক্তন শ্রমিক নেতা রাধাকৃষ্ণ মিশ্র বলেন, পাখি দত্ত, শুভম সিং, গৌতম সিংদের বাড়িগুলি বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। ইসিএলের বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনে আমি ইসিএলের সঙ্গে কথা বলব। মানুষের জীবনের সুরক্ষা সবার আগে।

    প্রসঙ্গত, দেড় দশক আগে সুপ্রিম কোর্ট রানিগঞ্জ ধসপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদের পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্ষাকাল নামলেই খনি এলাকায় ধসের আতঙ্ক গ্রাস করে। ভূমিধসের পাশাপাশি ইসিএলের বহু পরিত্যক্ত আবাসন আছে, যা ভগ্নপ্রায়। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সেগুলি পরিত্যক্ত বলেই দায় সেরেছে। তা ভেঙে না ফেলায় দরিদ্র মানুষ সেখানেই প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস শুরু করে দেয়। বর্ষাকালে তাঁদের আতঙ্কও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)