• শান্ত হচ্ছে গঙ্গা, আরও কমল জলস্তর
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতির পথে। মঙ্গলবার গঙ্গার জলস্তর লাল সর্তকতা থেকে নেমে হয়েছে হলুদ। তারমধ্যেই জোরকদমে চলছে বালির বস্তা গিয়ে বাঁধ তৈরির কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর। অন্যদিকে, ভুতনির বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি এবং দলবাজির অভিযোগ তুলে বিডিওকে ডেপুটেশন দিলেন কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী সহ নেতৃত্ব।

    প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির পর মানিকচকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হল। সোমবার বিকেল পর্যন্ত গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.৩৬ মিটার। মঙ্গলবার দুপুরে সেটাই দাঁড়িয়েছে ২৫.২৭ মিটারে। মালদহের সেচ দপ্তরের আধিকারিক বলেন, কালুটোন টোলায় বালির বস্তার বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। বসন্তটোলায় প্রায় ৭৫ শতাংশ 

    কাজ হয়েছে। এবার কেশরপুরের রিং বাঁধ তৈরি করা হবে। গঙ্গার জলস্তর বাড়লে বালির বস্তার বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করে জল আটকানো হবে।

    ভূতনি এলাকা থেকে গঙ্গার জল বের করতে খোলা হয়েছে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের স্লুইস গেট। এর ফলে পুলিন টোলা, উত্তর চণ্ডীপুর হাইস্কুল, ভূতনি থানা, ভুবনটোলা, বেচুটোলা কার্তিকটোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় জল কমছে। উত্তর চণ্ডীপুরের দিলীপ মণ্ডল বলেন, আগে গেট খুললে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতো। এখনও দুই, তিনদিন সময় লাগবে। 

    অন্যদিকে, এদিন বন্যা ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি ও দলবাজির অভিযোগ তুলে বিডিওকে ছয় দফা দাবিতে ডেপুটেশন দিল মানিকচক ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব। নেতৃত্বে ছিলেন দলের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, ত্রাণ নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। রাজনৈতিক রং দেখে যাতে ত্রাণ দেওয়া না হয়, তার দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাবার, শৌচালয়, স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা এবং গঙ্গা ভাঙনে ভিটেমাটি হারাদের 

    জন্য কলোনির ব্যবস্থা করার কথা বলেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)