• অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ‘আশ্রয়দাতা’ এএসআইকে জেরা এজেন্সির
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরই উঠে এসেছিল কলকাতা পুলিসের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের এএসআই অনুপ দত্তের নাম। অভিযোগ ছিল, সিভিক সঞ্জয়কে ব্যাটালিয়নে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সল্টলেকে সিবিআইয়ের দপ্তরে এসে সাংবাদিক দেখেই তিনি দৌড় শুরু করেন। তাই দেখে প্রশ্ন উঠছে, কেন তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে চাইছেন? তিনি কি  কিছু আড়াল করতে চাইছেন? তিনি ছাড়াও কলকাতা পুলিসের আরও এক কর্মীও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজিরা দেন সিবিআইতে। 

    সিবিআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সিভিকের মোবাইলের কল ডিটেইলস থেকে তারা জেনেছে ঘটনার দিন ভোরবেলা সঞ্জয় ফোন করেছিল চতুর্থ ব্যাটালিয়নে ওয়েলফেয়ার কমিটির এই নেতাকে। তিনি সমস্ত ঘটনা জেনেছিলেন সঞ্জয়ের কাছ থেকে। তারপর ওই সিভিক সেখানে পৌছে জামাকাপড় বদল করে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ সেখানে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে সিভিক। তদন্তে উঠে আসছে, এই এএসআই চতুর্থ ব্যাটালিয়নে সঞ্জয়ের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এএসআইয়ের নামেই ঘর বুক ছিল। ‘আশ্রয়দাতা’ অনুপের বিভিন্ন কাজকর্ম করে দিত সঞ্জয়। ওয়েলফেয়ার কমিটিতে এক কোণঠাসা নেতার ঘনিষ্ঠ ওই এএসআই ব্যাটালিয়নে সমস্ত পুলিস কর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকী সঞ্জয় ‘পুলিস’ লেখা যে বাইকটি ব্যবহার করত, সেটিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অনুপবাবু। এই বাইকটি ওয়েলফেয়ার সেলের নামে বরাদ্দ ছিল। অথচ তাঁদের কেউ এটি ব্যবহার করতেন না। শুধু তাই নয়, সরকারি পাম্প থেকে এই বাইকের জন্য তেল ভরত সঞ্জয়। সিবিআই জেনেছে, ওই এএসআইয়ের হাত ধরেই আর জি করে যাতায়াত শুরু হয় সঞ্জয়ের। ওয়েলফেয়ারের রোগী ভর্তির জন্য অভিযুক্ত সঞ্জয় অনুপবাবুর সঙ্গে যেত। সেখান থেকে সঞ্জয়ের পরিচয় হয় অধ্যক্ষ সহ অন্য আধিকারিকদের। অভিযুক্ত সিভিকের সঙ্গে কীভাবে এত ঘনিষ্ঠতা ওই এএসআইয়ের এবং তিনি কীভাবে খুন–ধর্ষণের পর চতুর্থ ব্যাটালিয়নে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিলেন এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তাঁকে করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 
  • Link to this news (বর্তমান)