নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিবিআইয়ের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা তখনই থাকবে, যখন তারা দ্রুততার সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। এই বক্তব্য তুলে ধরে এবার আর জি করের ঘটনায় তৃণমূল স্লোগান তুলেছে, ‘নির্যাতিতার বিচার চাই, বিচার দাও সিবিআই’। এই সূত্রেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আন্দোলন-কর্মসূচিরও সিদ্ধান্ত নিয়ে পথে নেমেছে।
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে গোটা দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ দিয়েছে। দেশের অনান্য রাজ্যেও যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ সময় উপযোগী ও যুক্তিসঙ্গত। পাশাপাশি, আর জি কর হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন নিয়ে কুণালের প্রতিক্রিয়া, তৃণমূল আপত্তি করতে যাবে না।
তৃণমূল বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে যে সমস্ত ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে, তার ফয়সালা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাই আর জি করের ঘটনায় সিবিআই দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত শেষ করুক, এই দাবি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপ বাড়িয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই স্লোগানটাও হোক, ‘নির্যাতিতার বিচার চাই, বিচার দাও সিবিআই। নির্যাতিতার বিচার চাই, উত্তর দাও সিবিআই।’
এদিন থেকে শাসক দলের শাখা সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফেও কর্মসূচি নেওয়া শুরু হয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পড়ুয়ারা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। যেখানে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেরি করছে সিবিআই, আমরা কিন্তু ফাঁসিই চাই।’ তবে তৃণমূলের ছাত্র শাখা কেন দেরি করে পথে নামল, তা নিয়ে তৃণাঙ্কুর বলেছেন, আর জি করের ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা। যখন আমরা দেখলাম এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে, তখনই পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।