• ‘স্থির’ নিম্নচাপে ভাসছে বাংলাদেশ, এ’রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিম্নচাপটি অবস্থান করছে বাংলাদেশের উপর। এজন্যই, তার প্রভাবে বৃষ্টি মঙ্গলবার পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে অনেক কম পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। নিম্নচাপটি এবার এরাজ্যের দিকে সরে এলেও বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার কিছু এলাকার মতো প্রবল বৃষ্টি এখানে হবে না। মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। নিম্নচাপটি এবার দুর্বল হয়ে পড়বে। এটি যখন রাজ্যের উপর আসবে তখন শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে এটির প্রভাব থাকলেও কোথাও অতিভারী বৃষ্টির ‘কমলা’ সতর্কতা নেই। কোনও কোনও স্থানে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। সাধারণভাবে দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। 

    নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন ত্রিপুরার বেশকিছু অংশে। তাতে সেখানে দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের ফেনি ও দক্ষিণ ত্রিপুরার কয়েকটি স্থানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ মিমির বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের নোয়াখালি, চট্টগ্রাম-সহ বেশকিছু জায়গায়। 

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দু’দিন ধরে নিম্নচাপটির মূল অংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপর ছিল। মঙ্গলবার নিম্নচাপটি মধ্য বাংলাদেশের উপর সরে এসেছে। আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তরে বায়ুপ্রবাহের নিম্নচাপের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করে। নিম্নচাপটি যে জায়গায় অবস্থান করছিল সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি এলাকা নিকটবর্তী। তাই বাংলাদেশের কিছু এলাকা ও সংলগ্ন ত্রিপুরায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা বেড়েছিল। সেটা হয়েছিল দূরে অবস্থানকারী নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাব ও সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার জন্য। এবার নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে রাজ্যের উপরের দিক ধরে ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে চলে যাবে। 

    মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় (৫৬ মিমি)। এই সময়ে বৃষ্টির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সল্টলেক (২৮ মিমি)।
  • Link to this news (বর্তমান)