• শর্তসাপেক্ষে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর অনুমতি দিল নবান্ন
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাম বাড়ানো যাবে না, এই শর্তে ভিন রাজ্যে ব্যবসায়ীদের আলু পাঠানোর জন্য সাময়িক অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ৭ দিনের জন্য ২ লক্ষ টন আলু বাইরের রাজ্যে পাঠানো যাবে। এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে যাবে ১ লক্ষ টন করে। ৭ দিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে রাজ্য সরকার। তবে এদিনের বৈঠকে আলু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনকে প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ভিন রাজ্যে পাঠালেও স্থানীয় বাজারের জন্য যে আলু সরবরাহ করা হবে, তার দাম যেন কোনও অবস্থাতেই না বাড়ে। দাম বাড়লে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো ফের বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলুর দাম এখন কেজিতে ২৫ থেকে ২৭ টাকার মধ্যে রয়েছে। বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়, বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়লে অন্যান্য সব্জি মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।এদিকে কেন্দ্রের গাফিলতিতে বড়সড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গের খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষ। রাজ্যের তরফে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। নাসিক থেকে পেঁয়াজের বীজ আমদানি কমিয়ে ন্যাশনাল সিড কর্পোরেশন থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। মূলত পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু, সম্প্রতি রাজ্যকে পাঠানো ১১ হাজার ২৮০ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বীজের মধ্যে মাত্র ৪৯৮ কিলোগ্রাম বীজ চাষযোগ্য। ফলে অথই জলে এই মরশুমে পেঁয়াজ চাষ। কারণ, হাতে সমসয় কম, এর মধ্যে অন্য কোনও মাধ্যম থেকে বীজ পাওয়াও সম্ভব নয়। ফলে ফের তাকিয়ে থাকতে হবে জানুয়ারির দিকে। 

    এবিষয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়, জানিয়েছেন, বাংলার এই দুর্ভোগের জন্য একমাত্র দায়ী ন্যাশনাল ফুড কর্পোরেশন। ওদের গাফিলতির জন্যই ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাবে খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষ। 

    প্রথমে, রাজ্যের তরফে ন্যাশনাল সিড কর্পোরেশনকে ১৩ হাজার ৪০ কেজি পেঁয়াজ বীজ চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় মাত্র ২ হাজার ৮৯৬ বীজ দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্রে মাত্র ১ হাজার ৭৬০ কেজি বীজ চাষযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর ফের ১১ হাজার ৮০০ কেজি বীজ চাওয়া হয়। এবার ১১ হাজার ২৮০ কেজি বীজ দিলেও চাষযোগ্য পাওয়া যায় মাত্র ৪৯৮ কেজি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য টাকা ফেরত চাইবে। চাষের অযোগ্য বীজ ফেরত দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, এবার থেকে স্থানীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলেও বাংলার শস্যবিমার সুবিধা পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। মঙ্গলবার নবান্নে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)