• ৭ মাসে ‘নগর বন্ধু’তে সুবিধা নিয়েছেন মাত্র ২৫৫ নাগরিক
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, মিউটেশন বা সম্পত্তি করের মূল্যায়ন—ইত্যাদি পরিষেবা মিলবে বাড়িতে বসেই। নাগরিকদের আর সময় নষ্ট করে আসতে হবে না  কলকাতা পুরসভায়। আবেদনপত্র পূরণও করতে হবে না। সবটাই করে দেবেন পুরকর্মীরা। প্রবীণ, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং অনলাইনে কাজ করতে যাঁরা অপারগ বা যাঁদের পুরসভা পর্যন্ত আসার উপায় নেই, তাঁদের জন্য ‘নগর বন্ধু’ পরিষেবা চালু হয়েছে শহরে। 

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই নয়া কর্মসূচিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আপাতত পরিষেবা নিয়েছেন মাত্র ২৫৫ জন নাগরিক। কিন্তু সংখ্যা তত্ত্বের ভিত্তিতে এটা অনেক কম হলেও বিষয়টিকে নাগরিক মহলে ইতিবাচক সাড়া হিসেবেই দেখছে পুর কর্তৃপক্ষ। 

    পুরসভায় ‘দালাল-রাজ’ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ বট (৮৩৩৫৯৯৯১১১)-এর মাধ্যমে আবেদন জানালে বাড়িতেই পৌঁছে যাচ্ছেন পুরকর্মীরা। তার জন্য কয়েকটি বিভাগ মিলিয়ে টিম তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি গিয়ে নথি নিয়ে আসা থেকে ফর্ম ফিল-আপও করে দিচ্ছেন। আপাতত স্বাস্থ্য, সম্পত্তি কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সম্পত্তির মিউটেশন, সংযুক্তিকরণ বা পার্টিশন, ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট সবটাই বাড়ি বসে মিলছে ‘নগর বন্ধু’র মাধ্যমে।

    বাড়িতে আবেদনপত্র নিয়ে যাওয়া, পূরণ করা, আবার সেগুলি পুরসভায় নিয়ে আসা থেকে শুরু করে আবেদনকারীর হাতে চূড়ান্ত নথি পৌঁছে দেওয়ার কাজ, সবটাই করছেন পুর কর্মচারীরা। অনেকের বক্তব্য, যে টাকা এতদিন দালালদের ঘরে যেত তা খানিকটা হলেও বন্ধ হয়েছে। 

    কিন্তু, যেখানে গত সাত মাসে মাত্র ২৫৫ জন আবেদন জানিয়েছেন, তাকে কি সাফল্য হিসেবে দেখা যেতে পারে? এই প্রসঙ্গে পুরসভার সম্পত্তিগড় মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগের এক কর্তা বলেন, অবশ্যই ইতিবাচক। এই সাত মাসের মধ্যে তিন মাস ভোটের জন্য সেই অর্থে কোনও কাজ করা যায়নি। যত জনকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে তার ৯৫ শতাংশের বেশি বাকি চার মাসের মধ্যে। ফলে এই সংখ্যাটা খুব একটা হেলাফেলার হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)