• জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানালেন প্রবীণ চিকিৎসকরা
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সংবাদদাতা, বারুইপুর, কাকদ্বীপ ও বজবজ: গত সপ্তাহে হাসপাতালগুলির আউটডোর টানা বন্ধ থাকায় শিকেয় উঠেছিল চিকিৎসা পরিষেবা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল বহু রোগীকে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ছবিটা একটু একটু করে বদলাতে শুরু করে। জেলার হাসপাতালগুলির আউটডোর ধীরে হলেও ফিরছে চেনা ছন্দে। এই আবহে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মনে আশা জাগালেন প্রবীণ চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তাঁরা কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন। সিনিয়রদের বক্তব্য, আউটডোর পরিষেবা আবার চালু হয়েছে। রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। তাই আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানিয়েছেন ওই বর্ষীয়ান চিকিৎসকরা।   

    মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। এদিন এই আউটডোরে প্রায় ৮০০ মানুষ ডাক্তার দেখিয়েছেন। তবে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনে এই সংখ্যা ১১০০-১২০০ হয়ে যায়। বজবজ পুর হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইনডোর চিকিৎসায় কোনও খামতি ছিল না। এখানকার সাতজন স্থায়ী চিকিৎসক আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েও নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন। হাসপাতালের ডিউটি রোস্টার মেনেই চিকিৎসা করছেন তাঁরা। জরুরি বিভাগেও রোগী দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আসছেন নিয়ম করে। বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘ডাক্তারদের আবেদন করা হয়েছিল, রোগী দেখার কাজ চালু রেখেই যেন প্রতিবাদ হয়। সেই মতো পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা।’ 

    ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে রোগীর চাপ খুব বেশি থাকে। চলতি ডামাডোলের পরিস্থিতিতে সেই ভিড়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বদল হলে রোগীর সামলানো মুশকিল হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিন—চাইছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। বারুইপুর, ক্যানিং সহ জেলার অন্যান্য হাসপাতালেও আউটডোরে রোগীর সংখ্যা তুলামুলক কম ছিল এদিন। তবে ডাক্তার না দেখাতে পেরে ফিরে যেতে হয়েছে, এমন সমস্যাও চোখে পড়েনি।
  • Link to this news (বর্তমান)