• এক ঘণ্টাতেই গড়ে ৬০ মিমির বেশি বৃষ্টি, মহানগরে ফিরল চেনা জলছবি
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক ঘণ্টায় গড়ে ৬০ মিমির বেশি বৃষ্টি। আর তাতেই মঙ্গলবার ‘বেআব্রু’ হয়ে পড়ল কলকাতা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা। ফিরল সেই চেনা জলছবি। ডুবল রাজপথ, ফুটপাত, অলিগলি। 

    তবে কলকাতা পুরসভার দাবি, এক ঘণ্টায় এমন বৃষ্টির জেরেই এই পরিস্থিতি। গঙ্গার লকগেট বন্ধ থাকায় বেসামাল হয়ে পড়ে উত্তর কলকাতা। একদিকে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি অন্যদিকে শহরজুড়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের মিছিল, দুর্ভোগের এই জোড়াফলায় বিদ্ধ হয়ে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কার্যত থমকে যায় শহর। এদিন দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। ফলে শহরের দক্ষিণাংশে তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।

    এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয় বৃষ্টি। একটা থেকে দু’টো পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি চলে। তখন আবার গঙ্গায় জোয়ার। ফলে লকগেটগুলি বন্ধ রাখতে হয়। যার জেরে উত্তরের বিধান সরণি, অরবিন্দ সরণি, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার, বড়বাজার, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর একাংশ, বেলেঘাটা, শিয়ালদহ, রাজাবাজার, পাতিপুকুর রেল ব্রিজ সহ দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকা, যাদবপুরের কিছু অংশ, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, তপসিয়া, কসবা সহ শহরের বহু এলাকায় প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যায়।

    অফিস পাড়া লালবাজারের সামনে রাস্তাতে জল। এমনকি ফুটপাতেও জল জমে যায়। পুলিসকর্মীদের প্রায় হাঁটু সমান জলে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলাতে দেখা গিয়েছে। জল জমে আর জি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেও। ফলে হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসকদের থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়দের জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে আন্দোলনকারীদেরও। এদিন একাধিক রাজনৈতিক দলের লালবাজার অভিযান ছিল। মিছিলের জন্য যানজট তৈরি হয়। পাশাপাশি জমা জলের জেরে যানবাহনের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। মিছিলের জন্য অনেক রাস্তায় যান চলাচল আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের।  

    পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জল জমেছে। তবে আগের মতো দীর্ঘ সময় জল জমে থাকছে না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, চলতি বছর বেশ কয়েকবার মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরও জল জমেনি শহরে। তবে এদিন যে সময় ভারী বৃষ্টি নেমেছে তখন গঙ্গায় জোয়ার ছিল। ফলে বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত লকগেটগুলি বন্ধ করে দিতে হয়। সে জন্য জল দাঁড়িয়ে যায়। লকগেট খোলার পর জল নামতে বিশেষ সময় লাগেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)