• সত্যি কি আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ? মুখ খুলল সিবিআই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলছে বলে একটি চিঠি ভাইাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দাবি করা হয়, চিঠিটা এক সিবিআই আধিকারিক লিখেছেন। তবে সেই চিঠি পুরো ভুয়ো বলে জানিয়ে দিল সিবিআই। ভাইরাল সেই চিঠিতে লেখা ছিল, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তিনি আবেদন করেছেন, আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত থেকে সরে দাঁড়াতে চান। কারণ এই তদন্তে নেমে তাঁকে রাজনৈতিক চাপ সহ্য করতে হচ্ছে।' এদিকে এই চিঠির নীচে স্বাক্ষর ছিল আকাশ নাগ নামের এক ব্যক্তির। পদাধিকারী বলে নাকি তিনি কলকাতায় সিবিআই দফতরের আধিকারিক। তবে সিবিআই জানিয়ে দিল, আকাশ নাগ নামে তাঁদের কোনও আধিকারিক নেই। আর এমনিতেও এই তদন্তের দায়িত্বে আছেন দিল্লির সদর দফতরের আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, তদন্তভার পাওয়ার পর আরজি কর-কাণ্ডে বিশেষ টিম গঠন করেছে সিবিআই। এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআই আধিকারিক সীমা পাহুজাকে। হাথরাস ধর্ষণ-কাণ্ডেও তাঁর নেতৃত্বে হয়েছিল তদন্ত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক তিনি। হাথরাস-কাণ্ডের সময় সীমা পাহুজা ছিলেন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের সিবিআই ইউনিটের দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে। এছাড়াও সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট-১-এ বহু বছর কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট পুলিশ পদক পেয়েছিলেন সীমা পাহুজা।

    এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে সিআইএসএফ। উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট গোটা কলকাতায় মধ্যরাতে মিছিল হয়েছিল। আরজি করের সামনেও বিশাল জমায়েত হয়েছিল সেই রাতে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সেই সময় পুলিশ পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির সময় পুলিশের বদলে সিআইএসএফ-কে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এরপর আবার ১৪ তারিখের ঘটনা সেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে। সেই রাতে নাকি মহিলা চিকিৎসকদের হোস্টেলে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। এই আবহে পুলিশে আস্থা হারিয়েছে সেখানকার চিকিৎসকরা। এদিকে এই হামলা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২২ তারিখের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২৩ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)