• পাঁচদিনে ৬২ ঘণ্টা জেরা, আজ ফের সিজিওতে, কী প্রশ্ন সন্দীপ ঘোষকে?
    ২৪ ঘন্টা | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিবিআইয়ের তলব পেয়ে আজ ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির দিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আজ সকাল ৯.১৫ নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছ যায় সন্দীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই গত ৫ দিনে মোট ৬২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ। তারপর আজ ফের জেরা। এনিয়ে ৬ দিন। আজই তাঁকে লালবাজারে তলব করা হয়েছিল। তাহলে কি আজ লালবাজারে হাজিরা দিচ্ছেন না সন্দীপ?

    আজ কতক্ষণ সন্দীপকে জেরা করা হয় সেটাই দেখার। কারণ এর আগেও তাঁকে ১০-১২ জেরা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আজও যদি তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় তাহলে আজ তিনি বারোটায় লালবাজারে যেতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে প্রায় সাঁড়াশি চাপে সন্দীপ ঘোষ।

    সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতার। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেই ছিল। তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি অভিযোগ করা হয়েছে টালা থানায়। সেখাই ঘুষ নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। যাদের টেন্ডার পাওয়ার য়োগ্যতা নেই তাদের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    এদিকে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ মৃত ছাত্রীর একাধিকবার পরিচয় প্রকাশ করেছেন সন্দীপ ঘোষ। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এনিয়ে তাঁকে লালবাজারে ডাকা হয়েছে।

    অন্যদিকে, আজ আরজিকরে এসে পৌঁছছে সিআইএসএফ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তারাই এবার হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। সকাল নটার পর সিআইএসএফের ডিআইজি আরজি কর হাসপাতাল পরির্দশনে আসেন। কতবড় হাসপাতাল। কতটা এলাকা। কোন কোন এলাকা কতটা স্পর্শকাতর? গেটে কি ধরনের  বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন? রোগী বা তার সঙ্গে থাকা বাড়ির লোক এবং অন্য উদ্দেশ্যে হাসপাতালে আসা বহিরাগত দের আলাদা করতে কি ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন? এই সমস্ত কিছু সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কথা DIG-র। এরপর তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে। ঠিক হবে কতজন সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হবে।

    হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে আরওকিছু জটিলতা রয়েছে। এমার্জেন্সি ভবনের ভেতরে রয়েছে পুলিস ফাঁড়ি। সেই ফাঁড়িতে ১০-১২ জন পুলিস থাকেন। প্রশ্ন উঠছে তারা কি হাসপাতালেই থাকবেন? নাকি তাদের চলে যেতে হবে। হাসপাতালের কিছু সমস্যা হলে তারাই ডিল করেন। তাদের কী হবে। এসব বিষয় টালা থানার সঙ্গে কথা বলে ঠিক হবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)