আর কোথাও নেই তো? শুরু অনিয়মের সন্ধান, নজরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি
এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল কি না, তা জানতে ইতিমধ্যেই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। এ বার স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে রাজ্যের বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিও। লিখিত নির্দেশ জারি না-হলেও সেগুলির আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করল নবান্ন।ওই সব মেডিক্যাল কলেজে কোনও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। টেন্ডার বিলি বা নতুন নির্মাণের বরাতের মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছিল। হাসপাতালের কর্তারাই সে অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু তার ভিত্তিতে কোনও তদন্ত হয়নি।
এখন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা পুরোনো সেই সব অভিযোগ সামনে এসেছে। এবং সরাসরি তাঁর নামে না-হলেও সেই অভিযোগেরই তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, অন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে রিপোর্ট যাতে আপডেটেড থাকে, সে দিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ।
নবান্ন থেকে মূলত বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যেখানে আর্থিক অনিয়মের আশঙ্কা রয়েছে, সে সব ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ওষুধ, রোগীদের খাবার, বিভিন্ন নির্মাণকাজ বা মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেন্ডার ঘিরে হাসপাতালের কর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তাই এই ধরনের টেন্ডার কারা পেয়েছেন, কোন পদ্ধতিতে তা বিলি হয়েছে, নথিপত্র ঠিকঠাক রয়েছে কি না— এ সব বিষয়ে সবিস্তারে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। গোলমাল ধরা পড়লে এখনই পদক্ষেপ না-করে তা সরাসরি জানাতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে। এর আগে কোনও মেডিক্যাল কলেজের এ ধরনের কোনও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল কি না, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে।
সূত্রের খবর, আপাতত কোনও লিখিত সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধু খোঁজখবর করে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে, যা পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।