নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: আঁধার নামল ‘আলোর শহর’ চন্দননগরে। প্রয়াত বিশিষ্ট আলোকশিল্পী বাবু পাল। ইদানীংকালে চন্দননগরের আলো মানেই বাবু পাল। তাঁর আলো ছাড়া চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো যেমন হয় না, তেমনই হয় না কলকাতার অনেক নামী দুর্গাপুজোও। শুধু তাই নয় রাজ্যের গণ্ডী ছাড়িয়ে ভিনরাজ্য এমনকী বিদেশেও আলোর হাত ধরে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন সুপ্রিম কুমার পাল ওরফে বাবু পাল। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলোর জগতের এই দিকপাল শিল্পী। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। চন্দননগরে আলোর জাদুকর বলা হয় শ্রীধর দাসকে। নানা ধরনের আলোর সাজের মাধ্যমে চন্দননগরের আলোকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন তিনিই। আর শ্রীধর দাসের পর বাবু পাল তাঁর নিজস্ব সৃজনশীলতায় চন্দননগরের আলোকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যান। জগদ্ধাত্রীপুজো বা দুর্গাপুজো ছাড়াও দিওয়ালিতে বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের মুম্বইয়ের বাড়ি সাজানোই হোক বা দুবাইয়ে শপিং ফেস্টিভ্যাল। সর্বত্রই আলোর বিষয়ে এককথায় ডাক পড়ত বাবু পালের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া চন্দননগরে। শোকস্তব্ধ শিল্পজগৎ তথা গোটা বাংলা।