জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘুষ-বেআইনি ওষুধ চক্রের প্রতিবাদ করেই 'ধর্ষিতা ও খুন' আরজি করের ট্রেইনি ডাক্তার! সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডে এই সম্ভাবনার কথা-ই উঠে আসছে সিবিআই তদন্তে! সিবিআই-এর সূত্র-ই বলছে, হাসপাতালের ভিতর চলা বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্ম সম্পর্কে জেনে ফেলেছিলেন নির্যাতিতা। তার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। আর তার জন্যই সম্ভবত তাঁকে 'টার্গেট' করে 'ধর্ষণ ও খুন'।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, হাসপাতালে চলা ঘুষ চক্রের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সুবিধাজনক জায়গায় পোস্টিংয়ের ট্রান্সফারের জন্য মোটা টাকা ঘুষ নেওয়া হত। সেইসঙ্গে হাসপাতালে সক্রিয় বেআইনি ওষুধ চক্রেরও হদিশ পেয়েছে সিবিআই। কোটি টাকার ওষুধ পেয়েছে সিবিআই, যা সরকার কিনেছিল, কিন্তু বেআইনি চক্রের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিক্যাল স্টোরে। তদন্তে আরও উঠে আসছে যে, এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আমলারাও।
এক উচ্চপদস্থ সিবিআই আধিকারিকের কথায়, "আমরা জানতে পেরেছি যে, সেখানে ডাক্তার ও প্রশাসনের একটি চক্র রয়েছে। যারা কিনা টাকার বিনিময়ে ডাক্তারদের ট্রান্সফার পোস্টিং দেওয়ার জড়িত ছিল। যেসমস্ত ডাক্তাররা তাঁদের পছন্দের মেডিক্যাল কলেজে বদলি চাইতেন, তাঁদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা করে নেওয়া হত। চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁদের সেই টাকা দিতে হত। এটা জানার পর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নির্যাতিতা। এই অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি 'টার্গেট' হয়ে যান।"
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর এখনও এই ঘটনায় সিবিআই কাউকে গ্রেফতার করেনি। সিবিআই এখনও কাউকে গ্রেফতার না করায়, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও টানা ৫ দিন ৬২ ঘণ্টা জেরার পর, আজ ষষ্ঠ দিন ফের আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। ওদিকে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে পুলিস ব্যারাকে থাকা থেকে বাইক, যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের এএসআই অনুপ দত্তকেও মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই।