স্টাফ রিপোর্টার: কৃষকদের স্বার্থে বিমার সুবিধা সম্প্রসারিত করল নবান্ন। ঘূর্ণিঝড়ের মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলেও শস্যবিমার সুবিধা পাবেন চাষিরা। মাঠে পড়ে থাকা ফসল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হলেও মিলবে বিমাজনিত ক্ষতিপূরণ। মঙ্গলবার নবান্নে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদিন নবান্নে সার, বাংলা শস্যবিমা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়ে সচিব ওঙ্কার সিং মিনা-সহ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় ছোট এলাকাজুড়ে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় হয়, তাতে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে। তাছাড়াও ধান কাটার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য যদি ধান মাঠে পড়ে থাকে আর সেই সময় কোনও রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেই ধান নষ্ট হয়ে যায়, তা হলেও কৃষকরা শস্যবিমার সুবিধা পাবেন।”
কৃষি দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শোভনদেব চাষের কাজে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে জোর দিয়েছেন। জেলায় জেলায় কাস্টম হায়ারিং সেন্টার তৈরি করেছেন। মন্ত্রী এদিন জানান, চলতি বছরে কৃষিকাজে ব্যবহৃত ছোট, বড়, মাঝারি এক লক্ষ মেশিন কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ধরনের মেশিন কিনবেন, তাঁদের সরকার থেকে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ভরতুকি দেওয়া হবে। ভরতুকি দেওয়ার জন্য এবার আড়াইশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পাশাপাশি, এদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে কৃষকদের যত অভিযোগ জমা পড়েছে সেগুলি আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দেন শোভনদেব। তাঁর কথায়, শুধু নিষ্পত্তি করলেই হবে না। যেসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আধিকারিকদের মনে হবে সেগুলো কেন ভিত্তিহীন তাও তথ্যপ্রমাণ-সহ দপ্তরে দাখিল করতে হবে। আসন্ন রবি মরশুমে কৃষকদের যাতে সার পেতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।