• ‘কবে হবে বিচার’, আরজি করের ঘটনায় CBI-কে পাল্টা চাপ তৃণমূলের
    এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • গত মঙ্গলবার ১৩ অগস্ট আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এক সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।আরজি কর নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘আরজি করের ঘটনায় আমরা দ্রুত বিচার চাই! ১৬৫ ঘণ্টা, ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও আরজি কর কাণ্ডে কোনও সুরাহা করতে পারেনি সিবিআই। কেন? জবাব চাই, জবাব দাও!’ তৃণমূলের পোস্টের সঙ্গে একটি ছবি জুড়ে লেখা হয়েছে, ‘কবে হবে বিচার…অপেক্ষা করছে বাংলা।’

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ ও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ৯ তারিখ রাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত সঞ্জয়কে এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্তের স্বার্থে আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

    এদিকে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত ১৩ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে দেয়। ১৪ অগস্ট সকালে দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম কলকাতায় আসে। সেদিনই ঘটনাস্থলে যায় সিবিআই আধিকারিকরা এবং তাদের নিজস্ব ফরেনসিক টিম। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি সেদিন থেকেই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। হেফাজতে নেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সঞ্জয়কেও।

    ১৪ অগস্ট থেকে টানা এই ঘটনার তদন্ত করে যাচ্ছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ রায়কে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতলের আরও কিছু চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদেরও। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে আরজি করে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত বলে সন্দেহ করছেন। এরপরেও অপরাধীরা কি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ডে সিবিআই বিচার দিতে অক্ষম হয়। সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় প্রমাণ জোগাড় করা যায়নি। বগটুই কাণ্ডেও এক অভিযুক্ত তাদের হেফাজতে থাকাকালীন মারা যায়। এই ঘটনাতেও ১৬৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তদন্তে শূন্য অগ্রগতি হয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)