আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই নরমে-গরমে নিজের বার্তা তুলে ধরছেন কুণাল ঘোষ। একদিকে যেখানে তিনি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, মেনে নিয়েছেন প্রশসনিক 'গলদ'... সেখানেই 'রাত দখলের' আন্দোলন এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন। এই আবহে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে চিকিৎসকদের অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা সেটা করেননি। এই আবহে আজ পুলওয়ামার উদাহরণ তুলে ধরে চিকিৎসকদের তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা।
এই নিয়ে কুণাল সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লেখেন, 'চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তোলার অনুরোধসহ প্রশ্ন- পুলওয়ামার ঘটনার এখনও ন্যায়বিচার হয়নি। তাই পুলওয়ামায় 'we want justice' বলে জওয়ানরা যদি সীমান্ত ছেড়ে এসে ধর্ণায় বসেন, সেটাকে কীভাবে দেখবেন?' এর আগে গতকাল তিনি একটি সিনেমার লিঙ্ক পোস্ট করেছিলেন। সিনেমাটির নাম - 'জীবন নিয়ে খেলা'। তা নিয়ে লিখেছিলেন, 'অঞ্জন চৌধুরীর ছবি। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিয়ে। ঘোর বাম জমানায় তৈরি ছবি। পারলে দেখবেন। হাসপাতালে সেসময় কী চলত; চক্র কী করত, সেসবের প্রেক্ষিতেই সিনেমা। একবার দেখে নেবেন।'
এদিকে এর আগে গতকাল আজি কর হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের মতো দাবি করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি ঠিকই ছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। গতকাল প্রথমে কুণাল ঘোষ পোস্ট করে লেখেন, 'আরজি করে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। আগের সিদ্ধান্ত বদল করল সুপ্রিম কোর্ট।' এর ২ ঘণ্টা পরই তিনি আবার লেখেন, 'আমি একটু আগে পোস্ট করেছিলাম শুনানিতে উল্লেখ হলেও RGKorএ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে একটু বিভ্রান্তি হচ্ছে এখন। আমি নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে পোস্ট করেছিলাম। এখনও সেই পোস্ট রাখছি। কিন্তু আবার চেক করছি। যদি এই তথ্য ভুল হয়, আমি জানিয়ে ডিলিট করে দেব।' পরে অবশ্য তিনি প্রথম টুইটটা মোছেননি। বরং অপর বার্তায় লেখেন। লেখেন, 'আগের পোস্টের আপডেট: সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে RGKor এ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ নেই। তবে শুনানিতে আলোচিত হয়েছিল। যদি একটু পরে এই অংশটি সংযোজন করে নতুন নির্দেশ আপলোড হয়, তাহলে সেটাই চূড়ান্ত। যদি সেটিও হয়, তাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই।' আর শেষ পর্যন্ত তিনি লেখেন, 'আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। সুপ্রিম কোর্টের সংযোজিত নির্দেশ। আমার দুপুরের পোস্ট ঠিকই ছিল। তারপর মূল নির্দেশে না থাকায় একটু বিভ্রান্তি হয়। যাই হোক, এই বাহিনী নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই, দুপুরেই লিখেছিলাম। আবার লিখলাম। বিষয়টি আপাতত এখানেই শেষ।'