তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সন্দেহভাজন সেই দুই পিজিটির এখনও কোনও খোঁজ নেই। জাগো বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, গত কয়েকদিন স্বাস্থ্যদফতরের তরফে আরজি করের সব চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা কর্মবিরতিতে, তাঁদেরও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। সেই সময়েই জানা গিয়েছে, ৯ আগস্ট রাতে নারকীয় ওই ঘটনার পর দুই পিজিটি আর কলেজে আসেননি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার পর অর্থাৎ ৯ অগাস্ট রাত থেকে আর খোঁজ নেই তাঁদের। এদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসক অন্যজন তাঁরই পুরুষ বন্ধু। মহিলা চেস্ট মেডিসিন বিভাগের এবং অন্যজন অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্টের বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার মতোই তাঁরাও ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি। তবে সেই দুই পিজিটি চিকিৎসক কেন আসছেন না, কর্মবিরতিতে শামিল চিকিৎসকদের একটা বড় অংশই তা বলতে পারেননি। এমনকি উত্তর নেই স্বাস্থ্যভবনের কাছেও।
শোনা যাচ্ছে, ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটিও হয়েছিল। যদিও সেবারের মতো মিটেও গেছিল সেসব। কিন্তু গত ৯ আগস্ট ঘটে যাওয়া সেই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাদের দুজনকে আর গোটা চত্বরেই দেখা যায়নি।