মৌমিতা চক্রবর্তী: নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী! 'মক্ষীরানীর কোমরে দড়ি পড়াতে হবে। সন্দীপ ঘোষ, বিনীত গোয়েলকেও থার্ড ডিগ্রি দিতে হবে'। আরজি কর কাণ্ডে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'তথ্য লোপাট করতে চেয়েছিলেন ক্ষমতা লোভী এই মহিলা। ক্ষমতা ছাড়া থাকতে পারে না'।
আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। আজ, বুধবার থেকে পাঁচ দিন শ্যামবাজারে ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গেরুয়াশিবির। এরমধ্য়েই আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ডাক দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবন অভিযানেরও। এদিন শ্যামবাজারে ধরনামঞ্চে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষও।
দিলীপ বলেন, 'সন্দীপ ঘোষকে পুলিস ডাকছে কি চা খাওয়াতে? নাকি সিবিআইকে ধোঁকা দেবার ট্রেনিং দিতে রাজীব কুমার ডেকেছে! নির্ভয়া কাণ্ডে ৭বছর লেগে ছিল, কিন্তু সাজা হয়েছে। পুলিসকে মানুষ ঘৃণা করে। পাবলিক যেদিন তাড়া করবে পুলিসকে, সেদিন তো গায়ে কাপড় চামড়াও থাকবে না। বাংলাদেশকে দেখুন। অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেলে মানুষ ভুলে যায়। ASI দৌড়াতে পারছে না! হারামের মাল খেয়ে এমন অবস্থা'।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে যখন আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই, তখন দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। তৃণমূলের মুখপাত্র 'জাগো বাংলা'য় বলা হয়েছে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেন রাজ্যপাল। সেই চিঠি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনেও পৌঁছে গিয়েছে।
দিলীপের কথায়, 'রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই পরিস্থিতি যাচ্ছে। আমাদের কাছে মানুষ জানতে চায়। আমি বলছি, হতাশ হবেন না। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। সেন্টাল ফোর্স আনা হোক। সিবিআই, ইডি চাই, দাবি তোলে মানুষ। এখানকার সরকার কেন আছে? ঘাস কাটতে? কেন্দ্রীয় সরকার যখন সবটাই করবে, তখন সরকারও চালাবে। এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। অন্য জায়গা হলে নবান্ন উড়িয়ে দিত মানুষ। ধুপ ধুনো দিয়ে তাড়াতে হবে মা মনসাকে'।