• দাঁত চামড়া ভেদ করে মাথায় ঢুকে তৈরি করেছিল গভীর ক্ষত! মুখ নাড়লেই রক্ত...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দাঁতের জটিল সমস্যায় ভুগছিল জীবনের উপান্তে পৌঁছনো পুরুষ জলহস্তীটি। তার নীচের পাটির দাঁত চামড়া ভেদ করে একটু-একটু করে মাথায় ঢুকছিল। তৈরি করেছিল গভীর ক্ষত! মুখ নাড়লেই বেরিয়ে আসছিল রক্ত। ফলে সে ভালো করে খেতেও পারছিল না। অবশেষে মৃত্যু হল আলিপুর চিড়িয়াখানার পুরুষ জলহস্তীটির। সঙ্গীহীন হয়ে পড়ল চিড়িয়াখানার স্ত্রী জলহস্তী।

    দাঁতের জটিল অপারেশনের পরে অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় পুরুষ জলহস্তীর। আলিপর জুলজিক্যাল গার্ডেন কতৃর্পক্ষ জানিয়েছেন, ১৬ অগাস্ট নিজের এনক্লোজারেই জলহস্তীটির ৩ ঘণ্টার অপারেশন হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পরে জ্ঞানও ফিরেছিল বছর বিয়াল্লিশের পুরুষ জলহস্তীর। তার পরে আচমকা অসুস্থতার শিকার হয় এটি এবং তার জেরেই গত ১৭ অগাস্ট, শনিবার ভোরবেলা আলিপুরের এনক্লোজারেই মৃত্যু হয় এর।

     

    একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, অস্ত্রোপচারের আগে জলহস্তীটিকে দেওয়া ঘুমপাড়ানি গুলি নির্দিষ্ট ডোজ মেনে দেওয়া হয়নি। যদিও ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। তিনি জানান, সমস্ত পদ্ধতিগত নিয়ম মেনেই জলহস্তীটির চিকিৎসা হয়েছিল। তাতে সে সাড়াও দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। আপাতত জলহস্তীটির ময়নাতদন্ত, বায়োপ্সি এবং প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষায় আলিপুর কর্তৃপক্ষ স্বয়ং।

    কী হয়েছিল ওই জলহস্তীর?

    গত ১০ বছর ধরে আস্তে আস্তে ওর নীচের চোয়ালের দুদিকে থাকা ক্যানাইন বাড়ছিল। ক্রমশ সেটা নাকের পাশে চামড়া ফুটো করে ঢুকে প্রায় মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর ক্ষত তৈরি করে। দাঁত নাড়ালেই সেই ক্ষতে আঘাত লাগছিল। ফলে মুখ খুললে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। ক্ষতগুলি ক্রমশ ম্যালিগন্যান্সির দিকে যাচ্ছিল। জলহস্তীটি ঠিক করে খেতেও পারছিল না। 

    কী করা হল জলহস্তীটিকে নিয়ে?

    তাই প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়। গড়া হয় মেডিক্যাল বোর্ডও। ১৬ অগাস্ট ওর অপারেশন হয়েছিল। এনক্লোজারের ভিতরে আলাদা কোয়ারান্টিন সেট-আপ করে অপারেশনটি করা হয়েছিল। ৩ ঘণ্টা চলে অপারেশন। ক্যানাইনেরই কিছুটা অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়। অপারেশনের পরে জ্ঞানও ফেরে। কিন্তু পরদিন ভোরের দিকে আচমকা মৃত্যু হয় এর।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)