জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিপূরণ, সরানো হল আর জি করের অধ্যক্ষ-সহ ৩ জনকে
প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৪
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিপূরণ। সরানো হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে। এছাড়া এমএসভিপি বুলবুল মুখোপাধ্যায় এবং চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকেও পদ থেকে সরানো হল। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। এমএসভিপি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাঃ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তার পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পড়ুয়াদের প্রবল আন্দোলনের মাঝে গত ১২ আগস্ট ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন তিনি। এর পর অধ্যক্ষ পদে আসেন সুহৃতা পাল। দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট মাঝরাতে হাসপাতালে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। এই ঘটনায় আর জি করের পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়। গত ১৫ আগস্ট, নিরাপত্তার দাবিতে অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও নার্সরা। তাঁকে ঘেরাও করেন তাঁরা। পরে রাতের দিকে সিবিআই তাঁকে উদ্ধার করে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তার পর থেকে কার্যত ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান অধ্যক্ষ। গত ৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে আসেননি তিনি। বুধবার অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের অপসারণের দাবিতে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও একই দাবি জানান। যদিও সেই সময় তাঁরা স্বাস্থ্যভবন থেকে বেরিয়ে দাবি করেন, অপসারণের দাবি মেটেনি। বৈঠক একেবারেই নিষ্ফলা। তবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন প্রায় সদ্য নিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। এর পর আর জি কর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম হাসপাতালের অধ্যক্ষ, এমএসভিপি এবং চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে অপসারণের সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্বাস্থ্যদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে জুনিয়র চিকিৎসকদের আংশিক দাবিপূরণ হয়েছে। তাঁরা এবার কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই এখন দেখার।