বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যুবতীকে ধর্ষণ! পুলিশের জালে মদ্যপ যুবক
প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৪
ধীমান রায়, কাটোয়া: পুজো উপলক্ষ্যে মায়ের সঙ্গে মামাবাড়িতে গিয়েছিলেন বছর কুড়ির বিশেষভাবে সক্ষম যুবতী। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রামের মধ্যেই তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার গরাগাছা গ্রাম। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাবলু দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ছয়দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানা এলাকার এক গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা। মামাবাড়ি কাটোয়ার গরাগাছা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার গরাগাছা গ্রামে ‘গাছপুজো’র অনুষ্ঠান ছিল। এই গ্রাম্যদেবীর পুজো উপলক্ষ্যে প্রতিবছর গরাগাছা গ্রামে ধুমধাম হয়। নির্যাতিতা তাঁর মায়ের সঙ্গে মামাবাড়ি গিয়েছিল শনিবার। নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল নটা থেকে তিনি তাঁর মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এর পর পাড়াপড়শিদের জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। তাঁরাও আশপাশের পাড়াতেও খোঁজ নিতে থাকেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে খোঁজাখুঁজি। এর পর তাঁরা খবর পেয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ গরাগাছা দিঘিরপাড়ে বাবলু দাসের বাড়িতে যান। তখনই আপত্তিকর অবস্থায় বাবলুকে দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা ওই বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীকে উদ্ধারের পাশাপাশি গনধোলাই দেয় বাবলু দাসকে। স্থানীয়রাই এর পর পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ বাবলু দাসকে উদ্ধার করে আনেন। নির্যাতিতার মা কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় আকন্ঠ মদ্যপান করেছিল অভিযুক্ত। ওই বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীকে রাস্তায় একলা পেয়ে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। অভিযুক্তের বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। বাবলুর বাড়ির কাছাকাছি ওই যুবতীকে দেখেছিলেন দুই একজন গ্রামবাসী। এর পর তাঁকে খোঁজাখুঁজির সময় বাবলুর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যুবতী জোরপূর্বক আটকে রেখে বাবলুকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেই খেপে ওঠেন স্থানীয়রা। তারা বাবলুকে মারধর শুরু করেন।