সরকারি গাড়িতে কোথায় যাতায়াত? গতিবিধি জানতে সন্দীপের গাড়ি পরীক্ষা সিবিআইয়ের
প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৪
বিধান নস্কর, দমদম: এবার সিবিআই স্ক্যানারে আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গাড়ি। অধ্যক্ষ থাকাকালীন ওই গাড়িটি ব্যবহার করতে তিনি। বুধবার তাঁর চালক গাড়িটি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান। ওই গাড়িটি পরীক্ষা করেন সিবিআইয়ের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। গাড়ির নেভিগেটর খতিয়ে দেখা হয়। গাড়িটি পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করেন গাড়িটি কোথায় কোথায় গিয়েছিল। এছাড়াও গাড়িটির মধ্যে কিছু নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখে নমুনা সংগ্রহের চেষ্টাও করেন তদন্তকারীরা। গাড়িচালককেও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত লম্বা ছুটিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পুলিশ এই ঘটনায় তৎকালীন অধ্যক্ষকে জেরা না করলেও, সিবিআই সন্দীপকে হাজিরার নোটিস পাঠায়। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি সন্দীপ। এর পর গত শুক্রবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই দিন মাঝপথে সিবিআই তাঁকে পাকড়াও করে। টানা জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, প্রথমদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্সে পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। শনিবার ফের সকালে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন সন্দীপ। সেদিন সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে হাজিরা। এবং সবরকমভাবে তদন্তকারীদের সাহায্য করার আশ্বাসও দেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এর পর একটানা বুধবার পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন সন্দীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁর কললিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।