আরজি করের পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা, নয়া সুপার সহ ৪ জনকে বদলি
এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৪
স্বাস্থ্যভবন থেকে বেরিয়ে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি পূরণের ‘মৌখিক’ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলকারীদের দাবি মানল স্বাস্থ্যভবন। আরজি কর হাসপাতালের নব নিযুক্ত সুপার সহ চারজনকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অন্যদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হলেও, সেই আদেশনামা বুধবার প্রত্যাহার করে নেয় স্বাস্থ্যভবন। আপাতত পদ-হীন হয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতেই থাকছেন তিনি।বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ করা হল। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে আরজি করের নতুন এমএসভিপি করা হচ্ছে। আরজি করের নয়া অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে পাঠানো হল বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে। বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে আরজি করের MSVP পদ থেকে সরিয়ে ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্টে ফেরানো হল। আরজি করের চেস্ট মেডিসিনের হেড অরুণাভ কে মালদা মেডিক্যালের চেস্ট মেডিসিনের প্রফেসর করে পাঠানো হলো। অপসারণ করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্তচৌধুরী এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা সরকারকেও। অভিযোগ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা সরকারই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিলেন।
বুধবার স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে চার দফা দাবি পেশ করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে হাসপাতালের সুপার সহ হামলার ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষ কর্তাদের এক ঘণ্টা সময়ও দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তরফে। এরপর ‘মৌখিক’ আশ্বাস পেয়ে স্বাস্থ্যভবন থেকে বেরিয়ে আসেন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এদিন স্বাস্থ্যভবন থেকে বেরিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমরা এখানে বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে।’ তাঁদের কথায়, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম কিছু দাবি নিয়ে।’ তাঁদের দাবি ছিল, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার দিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, সকলকেই অপসারণ করতে হবে। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের আন্দোলনে এদিন নতুন মাত্রা যোগ করে অ্যাসোসিয়েশন অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্সের রাজ্য শাখা। মৃতা চিকিৎসকও তাদের সদস্য ছিলেন। আন্দোলনে সহমর্মিতা জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি বোস ইনস্টিটিউট রিসার্চ স্কলার্স ফোরামও।