• বিডিওর সঙ্গে সংঘাত, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসছেন না সভাপতি-কর্মাধ্যক্ষরা
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: বিডিওর সঙ্গে সংঘাতে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসছেন না সভাপতি, সহ সভাপতি। এছাড়াও কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্য থেকে পঞ্চায়েত প্রধানরাও সমিতির অফিস এড়াচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, সভাপতি ও স্থায়ী সমিতিকে না জানিয়েই বিডিও টেন্ডার ডেকেছেন। 

    এমনকী, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে কাটোয়া-২ বিডিওর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও।

    গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে সভাপতি, সহ সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্যরা আসছেন না। শুধু তাঁরাই নন, পঞ্চায়েতের প্রধানরাও বিডিও অফিসে আসছেন না। তাঁরা কার্যত বিডিওকে বয়কট করেছেন। বিডিও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন, সভাপতি বা স্থায়ী সমিতিকে টেন্ডারের বিষয় জানাচ্ছেন না। এসব অভিযোগ তুলে আপাতত কেউ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসছেন না। 

    কতদিন পর্যন্ত এই অচলাবস্থা চলবে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি। ফলে বিডিওর সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। জেলা পরিষদের সদস্য তথা কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের প্রাক্তন প্রধান নিতাইসুন্দর মুখোপাধ্যায় বলেন, বিডিও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। পঞ্চায়েত সমিতির কাউকে না জানিয়ে টেন্ডার ডাকেন। জনস্বাস্থ্যের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ডাকেন না। 

    মিটিং হলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। এর আগে আমাদের এক সদস্যকে অপমান করেছেন। পঞ্চায়েতের কর্মীদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন। তাই আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করেছি, আপাতত পঞ্চায়েত সমিতিতে যাব না। 

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা বর্মন বলেন, আমাদের না জানিয়েই টেন্ডার ডাকেন বিডিও সাহেব। তাছাড়া আমাদের সঙ্গে উনি খুব একটা ভালো ব্যবহার করেন না। তাই আমরা পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে যাব না বলে ঠিক করেছি। সূত্রের খবর, একটি টেন্ডার ডাকা নিয়ে বিডিওর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সংঘাত তৈরি হয়েছে। আইএমডিপি প্রকল্পের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৩ কোটি টাকার একটি টেন্ডার ডাকা হয়। ওই টেন্ডার ডাকার সময় পঞ্চায়েত সমিতির কোনও সদস্যকেই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। এসব নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। যদিও বিডিও আসিফ আনসারি বলেন, টেন্ডার সংক্রান্ত সমস্ত কাজ অর্থদপ্তরের নিয়ম মেনেই করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে তা তদন্ত করে দেখতে পারে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সদস্যরা কেউ অফিসে আসছেন কি না আমার জানা নেই। তাঁরা কেউ আমাকে এব্যাপারে কিছু জানাননি। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রমাণ থাকলে দেখানো হোক।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)