• অল্প বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত সাহেবনগরের রাস্তা, ফিরেও দেখে না জনপ্রতিনিধিরা
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির রাস্তাটি কাদায় কাদা হয়ে যায়। তখন চটি হাতে নিয়ে কাদা মারিয়ে স্কুলে যেতে হয় রানিনগরের বর্ডারপাড়ার ৯৫ নম্বর সোতাঁপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। মালিবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বর্ডারপাড়া সাহেবনগরের প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তার চেহারা এমনই। শুধু স্কুল পড়ুয়ারাই নয়, ওই রাস্তার এমন দুরাবস্থার কারণে ভুগতে হয় আশেপাশের বাসিন্দাদেরও। বাম আমল থেকে এই তৃণমূল জমানা পর্যন্ত রাস্তাটির হাল একই। অভিযোগ, প্রতিবার ভোটের আগে পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয় না। আশেপাশের রাস্তাগুলিতে কংক্রিট কিংবা পিচের আস্তরণ পড়লেও ওই রাস্তার হাল ফেরে না। ওই রাস্তার পাশেই সোতাঁপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ১২৩। বর্ডারপাড়া ছাড়াও, ৫১ বর্ডারপাড়ার ও দুর্গাপুরের কচিকাঁচারা ওই স্কুলেই পড়ে। স্কুল থেকে পিচ রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। ওই দু’শো মিটার রাস্তা পেরতেই নাজেহাল হতে হয়। বৃষ্টি না হলে তাও আসা যাওয়া করা যায়। কিন্তু দু’-এক পশলা বৃষ্টিতেই রাস্তা কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। দিলীপ মণ্ডল নামে স্কুল পড়ুয়া বলে, মাটির রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে আমাদের ভীষণ সমস্যা হয়। কাদা রাস্তায় পা পিছলে একবার পড়েও গিয়েছিলাম। স্যান্ডেল হাতে নিয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হয়।

    স্কুলের শিক্ষক আবু রাইহান মাসুদ বলেন, স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি খারাপ। বৃষ্টি হলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি। ওই রাস্তার ধারে বসবাসকারী মানুষদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অভিযোগ, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা ভোটের আগে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয় না। মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহাঙ্গির আলম বলেন, আমি বোর্ডে বসার পর থেকেই ওই এলাকায় প্রচুর রাস্তা করে দিয়েছি। এই রাস্তাটিও আমাদের নজরে রয়েছি। আশাকরি শীঘ্রই ওই রাস্তাটির কাজ শুরু হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)