সংবাদদাতা, বহরমপুর: ভাতা প্রাপকদের তালিকায় নতুন করে আরও শিল্পীর নাম অন্তর্ভুক্ত করছে রাজ্য সরকার। বুধবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের অডিশন হয়ে গেল। এদিন জেলার সবকটি ব্লক থেকে প্রায় সাড়ে সাতশো শিল্পী অডিশন দেন। বাউল, ঝুমুর, জারিগান, আলকাপ, কীর্তন, কবি, বোলান, ঢাকি সহ বিভিন্ন ধারার শিল্পীরা হাজির হয়েছিলেন। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক প্রবাল বসাক বলেন, নতুন করে বহু শিল্পীকে সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করতেই অডিশন নেওয়া হচ্ছে।
জেলা তথ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জন শিল্পী সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিভিন্ন লোকশিল্প ধারার শিল্পীদের রাজ্য সরকার মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও পাচ্ছেন। নতুন করে সেই তালিকায় নাম সংযোজন শুরু হওয়ায় শিল্পীরা খুশি। বেলডাঙা নেতাজি পার্ক থেকে অডিশন দিতে এসেছিলেন বাউল শিল্পী অর্চনা ঘোষ। অর্চনা ঘোষ বলেন, আমি ঝাড়খণ্ডে ছিলাম তাই এতদিন পরিচয়পত্র পাইনি। আজ অডিশন দিলাম। ভরতপুর ব্লকের আমলাই দাসপাড়ার বাসিন্দা বিমল দাস বলেন, বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে আমাদের ঢাক বাজানোই পেশা। এলাকার বহু ঢাকি সরকারি ভাতা ও সুযোগ পেয়ে সংসারের হাল ফিরিয়েছেন। ডোমকল মহকুমার আলকাপ শিল্পী প্রকাশ চৌধুরী, জলঙ্গির ঝুমুর শিল্পী কাজল বিবিদের দাবি, আলকাপ, জারিগান, ঝুমুরের মতো প্রাচীন এই লোকসংগীত আমরা কয়েকজন এই জেলায় টিকিয়ে রেখেছি। সরকারি অনুদান মেলায় নতুন প্রজন্মের বহু শিল্পী এগিয়ে আসছেন।
বড়ঞা ব্লকের রায়হাট সরস্বতী মাতা উন্নয়ন কমিটি নাম দিয়ে মহিলা ঢাকির দল তৈরি করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সাতজন মহিলা। সেই দলের কাকলি দাস, অন্নপূর্ণা দাস, সবিতা দাস, লক্ষ্মী বায়েনরা বলেন, এই সরকার শিল্পীদের যোগ্য মূল্যায়ন করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মিলছে। শিল্পীর পরিচয়পত্র মিললে জীবন জীবিকা আরও স্বচ্ছল হবে। দুর্গাপুজোর আগেই নতুন শিল্পীদের সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র