• নোটিস পেয়েই ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ভেঙে পণ্য সামগ্রী সরাতে শুরু করেছে
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘা ওয়েলকাম গেট থেকে ওড়িশা বর্ডার পর্যন্ত রাস্তার পাশে দুশোর বেশি দোকানপাট উচ্ছেদের নোটিস আগেই জারি করেছিল দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। পরিবর্তিত নোটিসে ২০ আগস্টের মধ্যে সরকারি জায়গা জবরদখল করে বসে থাকা ওই দোকানপাট ও অন্যান্য নির্মাণ সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নিউ দীঘা এলাকায় ও ওড়িশা বর্ডার রাস্তার দু’পাশের দোকানদাররা নিজেরাই দোকানপাট ভেঙে নিতে শুরু করলেন। উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দোকানপাটগুলি ভেঙে না নিলে প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে তা উচ্ছেদ করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী দিনে দীঘা গেট থেকে বর্ডার পর্যন্ত দীঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হবে। তার জন্য দিন পনেরো আগে রাস্তার দু’পাশে জবরদখল করে যে সমস্ত দোকানপাট কিংবা হোটেল-রেস্তরাঁ রয়েছে, সেগুলি সরানোর ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করে উন্নয়ন সংস্থা। গত ১৩ আগস্টের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। নোটিস হাতে পেয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ব্যবসায়ীদের। সিদ্ধান্ত বিবেচনার আর্জি নিয়ে উন্নয়ন সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল ওল্ড ও নিউ দীঘার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং হকার ইউনিয়নগুলি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমনকী এই নোটিসের বিরোধিতা করে ১২ তারিখ ওল্ড ও নিউ দীঘার দোকানপাট বন্ধ রেখে উন্নয়ন সংস্থার অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, উন্নয়ন সংস্থা তাঁদের আর্জি পর্যালোচনা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। তাঁরা স্পষ্ট হুমকি দিয়েছিলেন, তেমন কিছু হলে বিক্ষোভ-অবরোধের মধ্য দিয়ে সৈকতনগরী অচল করে দেবেন। তারপর উচ্ছেদ অভিযান আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় উন্নয়ন সংস্থা।  তবে বুধবার নিউ দীঘার জাহাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকা ও বর্ডার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার ধারে থাকা একের পর এক দোকান নিজেরাই ভেঙে ফেলছেন দোকানদাররা। নিউ দীঘা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা কমল আদক বলেন, উন্নয়ন সংস্থার কর্তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে একতরফাভাবে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে সবকিছু জানিয়েছি। এবিষয়ে উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, আগের নোটিসে বৈধ জায়গায় থাকায় দোকানপাট ও স্টল পড়ে গিয়েছিল। তাই উচ্ছেদের নির্দেশ স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেগুলি ঠিকঠাক করে নতুন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাটগুলি ভেঙে না নিলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।-নিজস্ব চিত্র   
  • Link to this news (বর্তমান)