• ওল্ড পিডব্লুডি বিল্ডিং সংস্কার করে বানানো হবে মিউজিয়াম
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার বৈরাগী দিঘি লাগোয়া ওল্ড পিডব্লুডি বিল্ডিংটি এবার সংস্কার করা হবে। সেখানে বানানো হবে একটি মিউজিয়াম। সেই মিউজিয়ামে রাখা হবে রাজ আমলের পূর্তদপ্তরের সামগ্রী। এখানে একসময় পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বসতেন। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ভবনটি সংস্কার করা হবে। সেই ভবনেরই একটি রুমে মিউজিয়াম বানানো হবে। আরও প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফেন্সিং সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে। 

    রাজ আমলে পূর্তদপ্তরে কাজে ব্যবহার হতো এমন বহু জিনিস ওই মিউজিয়ামে রাখা হবে। প্রাচীন সামগ্রী দিয়ে সাজানো হবে মিউজিয়ামটি, যা রাজ আমলের স্মৃতিবহন করবে। এর কাজ শেষ হলে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে ওঠা কোচবিহার শহরের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হবে। পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় দেবনাথ বলেন, দপ্তরের ওল্ড পিডাব্লুডি বিল্ডিংয়ে একটি মিউজিয়াম গড়ার জন্য এস্টিমেট জমা পড়েছে। ভবনটি প্রথমে সংস্কার করা হবে। সেখানে রাজ আমলের ও পুরানো দিনের পূর্তদপ্তরের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হবে। কিছু সামগ্রী পূর্তদপ্তরের সড়ক বিভাগে রাখা আছে। সাধারণ মানুষ যাতে এসব দেখতে পারে তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। 

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, কোচবিহার মহারাজাদের সময় যে পূর্তদপ্তর ছিল, তার কাজ ওই পুরনো ভবন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হতো। মহারাজাদের আমলে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হতো তার কিছু নমুনা, দুষ্প্রাপ্য নথি রয়েছে। জেলার হেরিটেজ মিটিংয়ে ভবনটিকে মিউজিয়াম করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে রাজ আমল সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবে। কোচবিহারের প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকির বক্তব্য, ওই জায়গায় একটি মিউজিয়াম গড়ে উঠলে এটি একটি দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। 

    অন্যান্য জেলায় শহরের অধিকাংশ রাস্তাই পুরসভার অধীনে। কোচবিহারে কিন্তু তেমনটা নয়। শহরের অধিকাংশ বড় রাস্তাই পূর্তদপ্তরের অধীনে। আর তার একমাত্র কারণ কোচবিহার ছিল রাজার শহর। এখানে মহারাজাদের আলাদা করে পূর্তদপ্তর ছিল। ফলে প্রাচীন কোচবিহার শহরেই গড়ে উঠেছিল চওড়া রাস্তা। পূর্তদপ্তরের সেই সময়ের কাজে ব্যবহৃত বহু জিনিস এখনও মজুত রয়েছে। পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়কার মেজারমেন্ট বুক, রাজ আমলের টেন্ডার এগ্রিমেন্ট, কম্পাস, স্কেল ইত্যাদি সামগ্রী এখনও রয়ে গিয়েছে। সেসব সামগ্রী দিয়ে মিউজিয়ামটি সাজানো হবে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)